সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
বাংলা
সপ্তম শ্রেণি
১) গল্পকার ও ঔপন্যাসিককে কী বলা হয়?
উত্তর: কথাসাহিত্যিক।
২) ‘মাঝি’ কবিতায় শেয়ালগুলো কখন ডেকে ওঠে?
উত্তর: রাতদুপুরে।
৩) গল্প আয়তনে সাধারণত কেমন হয়?
উত্তর: ছোটো।
৪) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় কুমিরেরা কীভাবে রোদ পোহায়?
উত্তর: পাশাপাশি শুয়ে।
৫) কার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে আবু বিশাল একটা বোয়াল মাছ ধরেছিল?
উত্তর: দাদার সঙ্গে।
৬) আবু কার কাছে শুনেছিল যে বোয়াল মাছ তেলাপোকা ভালোবাসে?
উত্তর: সুবোধ কাকার।
৭) ‘নোলক’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর: আল মাহমুদ।
৮) বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৯) চাষি কখন লাঙল দিয়ে জমি চাষ করেন?
উত্তর: সকালে।
১০) আবুর বয়স কত?
উত্তর: দশ বছর।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
১১) কবির মাঝি হওয়ার জন্য কার সম্মতির প্রয়োজন?
উত্তর: মায়ের।
১২) কাহিনি বলার জন্য লেখক গদ্য ভাষায় যে রচনা তৈরি করেন, তাকে কী বলে?
উত্তর: গল্প।
১৩) হালিমা খাতুন কাদের জন্য অনেক গল্প লিখেছেন?
উত্তর: ছোটোদের জন্য।
১৪) কবি আল মাহমুদ কত সালে মারা যান?
উত্তর: ২০১৯ সালে।
১৫) গল্পের কাহিনি গড়ে ওঠে কীসের মধ্য দিয়ে?
উত্তর: চরিত্রের।
১৬) কবিতায় আহার ভরা বুক কার?
উত্তর: পাহাড়ের।
১৭) ‘মাঝি’ কবিতায় কবির কোথায় যেতে ইচ্ছে করে?
উত্তর: নদীর ওপারে।
১৮) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় কোন নদীর কথা আছে?
উত্তর: পদ্মা নদীর।
১৯) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: গীতাঞ্জলি।
২০) ডিঙি নৌকা কোথায় বাঁধা রয়েছে?
উত্তর: বাঁশের খোঁটায়।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
২১) শিশু সাহিত্যিক হিসেবে কে সুপরিচিত?
উত্তর: বন্দে আলী মিয়া।
২২) হালিমা খাতুন কোন আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন?
উত্তর: ভাষা আন্দোলন।
২৩) ‘সোনালি কাবিন’ কোন কবির রচনা?
উত্তর: আল মাহমুদের।
২৪) হালিমা খাতুনকে কী বলা হয়?
উত্তর: ভাষাসৈনিক।
২৫) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় কাকে স্বাধীনচেতা বলা হয়েছে?
উত্তর: ষাঁড়কে।
২৬) হালিমা খাতুনের জন্ম গ্রহণ করেন কত সালে?
উত্তর: ১৯৩৩ সালে।
২৭) হালিমা খাতুনের মৃত্যু বরণ করেন কত সালে?
উত্তর: ২০১৮ সালে।
২৮) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় কবি কীসের বর্ণনা দিয়েছেন?
উত্তর: একটি চরের।
২৯) বন্দে আলী মিয়া কত সালে মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৭৯ সালে।
৩০) সন্ধ্যা হলে কোথা থেকে সবাই ঘরে ফিরে?
উত্তর: নদীর ওপার থেকে।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৩১) ‘মাঝি’ কবিতায় সারে সারে কী বাঁধা রয়েছে?
উত্তর: ডিঙি নৌকা।
৩২) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় ‘বিহানে’ শব্দটির অর্থ কী?
উত্তর: সকালে।
৩৩) কবিতার ভাষাকে কী বলা হয়?
উত্তর: পদ্য ভাষা।
৩৪) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় ছোঁ দিয়ে কে মাছ ধরে?
উত্তর: গাঙচিল।
৩৫) গল্পের চরিত্রের কথা বলাকে কী বলা হয়?
উত্তর: সংলাপ।
৩৬) কে বড়শি আর টোপ নিয়ে এসেছে?
উত্তর: আবু।
৩৭) বন কবিকে কী দিতে চেয়েছিল?
উত্তর: ফুলের গন্ধ।
৩৮) কবিতায় পল্লি-প্রকৃতির বর্ণনায় কে নিপুণতার পরিচয় দিয়েছেন?
উত্তর: বন্দে আলী মিয়া।
৩৯) বন তার সবুজ চুলে কী পরে?
উত্তর: ফুল।
৪০) আখের খামার পাহারা দেওয়ার জন্য কী নেড়ে শব্দ করার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ঠকঠকি নেড়ে।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৪১) ‘ধস্তাধস্তি’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: কোস্তাকুস্তি।
৪২) একা নৌকায় থাকতে পেরে কার খুব আনন্দ হলো?
উত্তর: আবুর।
৪৩) ‘ময়নামতীর চর’ কার বিখ্যাত বই?
উত্তর: বন্দে আলী মিয়া।
৪৪) বন্দে আলী মিয়া কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯০৬ সালে।
৪৫) প্রতিটি গল্পের মধ্যে কী থাকে?
উত্তর: কাহিনি।
৪৬) বড়ো আয়তনের গল্পকে কী বলে?
উত্তর: উপন্যাস।
৪৭) কবি বড়ো হলে কী হতে চান?
উত্তর: খেয়াঘাটের মাঝি।
৪৮) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতাটি কে লিখেছেন?
উত্তর: বন্দে আলী মিয়া।
৪৯) ‘পিকনিকে’ বইটি কার লেখা?
উত্তর: হালিমা খাতুনের।
৫০) ‘মাঝি’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কাব্য থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: শিশু কাব্য।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৫১) খেতের কোনায় বাঁশ পুঁতে কোথায় ঘরটি বাঁধা হয়েছে?
উত্তর: শূন্যে।
৫২) কবি বনকে কী বলে সম্বোধন করেছেন?
উত্তর: ভাই।
৫৩) ‘নোলক’ কবিতাটি কবির কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া?
উত্তর: ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ কাব্যগ্রন্থ থেকে।
৫৪) আল মাহমুদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৯৩৬।
৫৫) ‘পাখির ছানা’ বইটি কে লিখেছেন?
উত্তর: হালিমা খাতুন।
৫৬) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর: ১৯১৩ সালে।
৫৭) ‘নোলক’ কবিতায় নিজেদের ‘বনের সাধারণ’ বলে পরিচয় দিয়েছে কারা?
উত্তর: পাখপাখালিরা।
৫৮) শেয়ালগুলো কোথায় ডেকে ওঠে?
উত্তর: ঝাউ ডাঙাটার পরে।
৫৯) হরিণের কাছে নোলকের সন্ধান নিতে গেলে তারা কী করে?
উত্তর: পাতার ফাঁকে মুখ বাঁকিয়ে রাখে।
৬০) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: ১৮৬১ সালে।
৬১) ময়নামতীর চরটি দেখতে কেমন?
উত্তর: আগাছাপূর্ণ ও শুকনো।
৬২) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতাটি কবির কোন কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ময়নামতীর চর বই থেকে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
১) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতাটি লিখেছেন বন্দে আলী মিয়া। কবিতাটি নেওয়া হয়েছে তাঁর ‘ময়নামতীর চর’ নামক কবিতার বই থেকে। কবিতাটির চরণ শেষে মিল-শব্দ রয়েছে। কবিতাটির লয় বা গতি মাঝারি। নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা একটি চরকে কেন্দ্র করে কবিতাটি রচিত হয়েছে।
২) ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটির মাধ্যমে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, ছোটোদের অবহেলা করা উচিত নয়। তারাও অনেক সময় দুঃসাহসিক কাজ করে ফেলতে পারে।
৩) ‘মাঝি’ কবিতায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে কার প্রতি এবং কেন?
উত্তর: ‘মাঝি’ কবিতায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে মা ও মাতৃভূমির প্রতি। কবি চান সবসময় মায়ের কাছাকাছি থাকতে। তাই তিনি বাবার মতো বিদেশ যেতে চান না। মায়ের প্রতি মমতার কারণে কবি খেয়াঘাটের মাঝি হয়ে নৌকা পারাপার করতে চান। কবি আরও আশা করেন, তাঁর নৌকা পারাপারের দৃশ্য স্নানরত ছেলেমেয়েরা দেখবে। তাছাড়া নদীর ওপারের অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য কবিকে মাতৃভূমির প্রতি আকর্ষিত করে। তাই বলা যায়, আলোচ্য কবিতায় সবচেয়ে বেশি মা ও মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়েছে।
৪) আবু বড়শি আর টোপ হিসেবে কী ব্যবহার করেছে?
উত্তর: আবুর বড়শি ছিল কেরোসিনের টিনের আংটা দিয়ে তৈরি। আর টোপ হিসেবে আবু ব্যবহার করেছিল তেলাপোকা।
৫) ‘নোলক’ কবিতায় ফুটে ওঠা কবির মনোভাব ব্যক্ত করো।
উত্তর: ‘নোলক’ কবিতায় কবি আল মাহমুদ বাংলার হারানো ঐতিহ্যকে খুঁজে পেতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে ঐতিহ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে কবি বাংলার প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের বর্ণনা তুলে ধরেছেন। মূলত কবি বোঝাতে চেয়েছেন বাংলার কিছু ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধি এখনো অটুট। এর মাধ্যমে দেশের প্রতি কবির অনুরাগ ও ভালোবাসার মনোভাবই ফুটে উঠেছে।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৬) ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটি পাঠের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটি পাঠের মাধ্যমে রাতের বেলা মাছ ধরার একটি অনন্য অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানা যাবে এবং ছোটো বাচ্চারাও যে আগ্রহ থাকলে অনেক কিছু করতে পারে এই বিষয়টিও বুঝতে পারা যাবে।
৭) ‘নোলক’ কবিতা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: দেশমাতৃকার সম্পদ নানাভাবে হারিয়ে যাচ্ছে কবি এই সম্পদ ফিরে পেতে চান। দেশাত্মবোধক বিভিন্ন স্তবক দ্বারা কবি মূলত সম্পদ ফিরে পাবার আশা করেছেন।
৮) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় উল্লিখিত ২টি ফসলের নাম লেখো।
উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় উল্লিখিত ২টি ফসলের নাম হলো-
ক. কলাই।
খ. আখ।
৯) ‘নোলক’ কবিতায় কবি কী খুঁজে ফিরছেন?
উত্তর: ‘নোলক’ কবিতায় নোলকের রূপকে কবি খুঁজে চলেছেন বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে। অতীতকালে আমাদের যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও জাতীয়তাবোধ, ছিল, তা যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের সংস্কৃতিও প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে অনেক ঐতিহ্যবাহী প্রথা ও কিছু চিরাচরিত মূল্যবোধ লুপ্তপ্রায়। এ কবিতায় কবি সেই হারানো ঐতিহ্যকেই খুঁজে ফিরেছেন।
১০) নোলক কী?
উত্তর: নোলক হলো নাকে পরার অলঙ্কার বিশেষ। কিন্তু ‘নোলক’ কবিতায় ‘নোলক’ শব্দটি দ্বারা দেশের সম্পদ বোঝানো হয়েছে।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
১১) গল্প কাকে বলে?
উত্তর: কাহিনি বলার জন্য লেখক গদ্য ভাষায় যে রচনা তৈরি করেন, তাকে গল্প বলে। গল্প আয়তনে সাধারণত ছোটো হয়ে থাকে। প্রতিটি গল্পের মধ্যেই কাহিনি থাকে।
১২) ‘মাঝি’ কবিতাটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: ‘মাঝি’ কবিতাটিতে একটি বালকের নানা ধরনের ইচ্ছার কথা প্রকাশ পেয়েছে। যে নদীর অপর পারে যেতে চায়, যেখানে বাঁশের খোঁটায় সারে সারে ডিঙি নৌকা বাঁধা থাকে। কৃষাণেরা লাঙল কাঁধে ফেলে নদী পার হয়। জেলে জাল ফেলে মাছ ধরে। রাখাল ছেলে গোরু- মহিষ সাঁতরে নিয়ে যায়। যেখানে সবাই সন্ধে হলেই ঘরে ফিরে আসে। ঝাউডাঙার ওখানে শেয়াল ডাকে। মা রাজি হলেই ছেলেটি খেয়াঘাটের মাঝি হবে। কারণ সে শুনেছে নদীর ওপারে জলার মতো আছে যেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে চখাচখি আসে। যেখানে ঘন শরবন আছে, কাদাখোঁচা যেখানে পায়ের চিহ্ন আঁকে। ছেলেটি এইসব কিছু নিজের চোখে দেখতে চায়। তাই সে খেয়াঘাটের মাঝি হতে চায়।
১৩) ‘হরিৎ টিয়ে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: হরিৎ অর্থ সবুজ, অন্যদিকে আমরা জানি টিয়া পাখির রং সবুজ। ‘হরিৎ টিয়ে’ বলতে বাংলার সবুজ প্রকৃতির কথা বোঝানো হয়েছে।
১৪) ‘আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে’- চরণটিতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত চরণটিতে কবি দেশের সম্পদ হারিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। ‘নোলক’ শব্দটি দ্বারা এখানে সম্পদ বোঝানো হয়েছে। কবি দেখেছেন যে, দেশমাতৃকার সম্পদ নানাভাবে হারিয়ে যাচ্ছে।
১৫) হালিমা খাতুনের উল্লেখযোগ্য বই কী কী?
উত্তর: হালিমা খাতুন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক। তাঁর উল্লেখযোগ্য বইয়ের মধ্যে আছে- পাখির ছানা, পিকনিক, সকালের আলো ইত্যাদি।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
১৬) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় উল্লিখিত ষাঁড়টির ২টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় উল্লিখিত ষাঁড়টির ২টি বৈশিষ্ট্য নিচে- উল্লেখ করা হলো-
১. শিং-এ মাটি লেগে ছিল।
২. দড়ি ছিঁড়ে পালিয়ে যাচ্ছিল।
১৭) আল মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কবিতার বই কী কী?
উত্তর: আল মাহমুদ বাংলাদেশের প্রধান কবিদের একজন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বই হলো- ‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলম’, ‘সোনালি কাবিন’ ইত্যাদি।
১৮) ‘মাঝি’ কবিতায় কবির নদীর ওপারে যেতে ইচ্ছা করে কেন?
উত্তর: ‘মাঝি’ কবিতায় কবির নদীর ওপারে যেতে ইচ্ছা করে কারণ নদীর ওপারের অপূর্ব দৃশ্যাবলি তাঁকে আকর্ষণ করে। দিনের বেলা সেখানে মানুষের বিচিত্র কর্মকোলাহল দেখা যায়। রাতের বেলা সেখানে শেয়াল ডেকে ওঠে। চখাচখি ও মানিকজোড় পাখি ছাড়াও কাদাখোঁচা পাখির কাদার উপর পায়ের চিহ্ন আঁকার দৃশ্য ও কবিকে টানে বলেই কবির নদীর ওপারে যেতে ইচ্ছা করে।
১৯) ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে আবু গোপনে কী প্ল্যান করেছিল?
উত্তর: ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে ছোটো আবু, তার দাদা সাজেদ ও তার বন্ধুরা যখন মাছ ধরতে বিলে যাবে, তখন সে লুকিয়ে তাদের সাথে যাওয়ার প্ল্যান করেছিল। কারণ আবুর বয়স মোটে দশ হওয়ায় তাকে কেউ মাছ ধরতে নিয়ে যেত না।
২০) বড়ো হয়ে কবি কী হতে চান এবং কেন হতে চান?
উত্তর: বড়ো হয়ে কবি খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান। কেননা মাঝি হতে. পারলে কবি সারাদিন নদীর এপার-ওপার নৌকা পারাপার ‘করতে পারবেন। তাঁর নৌকা পারাপারের দৃশ্য দেখবে স্নানরত ছেলেমেয়েরা। নদীর ওপারের অপূর্ব দৃশ্য তাঁকে আকর্ষণ করে। তাছাড়া কবি সবসময় তাঁর মায়ের কাছাকাছি থাকতে চান; বাবার মতো বিদেশে যেতে চান না। তাই বড়ো হয়ে কবি খেয়াঘাটের মাঝি হতে চান।
আরো পড়ুন
বুঝে পড়ি লিখতে শিখি। বাংলা । ৭ম শ্রেণি
চারপাশের লেখার সাথে পরিচিত হই। বাংলা। ৭ম শ্রেণি
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি। বাংলা । ৭ম শ্রেণি
প্রমিত ভাষায় কথা বলি। বাংলা। ৭ম শ্রেণি
নানা রকম আকৃতি মাপি। গণিত। সপ্তম শ্রেণি