ডিজিটাল প্রযুক্তি
অষ্টম শ্রেণি
প্রশ্ন ও উত্তর
০১) নাগরিক সেবা সহজ করতে কী তৈরি করা হয়েছে?
উত্তর: মোবাইল অ্যাপ।
০২) তোমার ডিজিটাল প্রযুক্তি বইটি কোন ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে?
উত্তর: এনসিটিবির (NCTB) ওয়েবসাইট থেকে।
০৩) অনলাইনে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয় কারা?
উত্তর: হ্যাকাররা।
০৪) ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: (ক) তথ্য চুরি থেকে বাঁচার জন্য।
(খ) জালিয়াতচক্র এড়িয়ে চলার জন্য।
(গ) অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার জন্য।
(ঘ) পারিবারিক নিরাপত্তার জন্য।
(ঙ) সাইবার অপরাধের শিকার না হবার জন্য।
(চ) অপব্যবহার রোধ করার জন্য।
০৫) মুঠোফোনের নিরাপত্তায় কী ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: পিন কোড, পাসওয়ার্ড, স্ক্রীন লক, প্যাটার্ণ লক ইত্যাদি।
০৬) অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কুফল বর্ণনা কর।
উত্তর: অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কুফল-
মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ায়: অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে অবসাদ, উদ্বেগ এবং অনিদ্রা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে এটি তরুণদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়।
আসক্তি: সামাজিক মাধ্যমে আসক্তি ব্যক্তিগত, পেশাগত এবং শৈক্ষিক জীবনে বাধা দিতে পারে। এটি সামাজিক সম্পর্ক এবং বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতাগুলোর উপরও প্রভাব ফেলতে পারে।
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার ঝুঁকি: অতিরিক্ত সামাজিক মাধ্যম ব্যহার করার ফলে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়া ও সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ে।
সামাজিক বিচ্ছিন্নতা: বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলোর চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশি সময় ব্যয় করা সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। এছাড়া ও অতিরিক্ত সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে একাকীত্ব তৈরি হয়।
পড়াশোনা ও কর্মজীবনে প্রতিবন্ধকতা: অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যহার করার ফলে পড়াশোনা ও কর্মজীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর জীবনচারণ: অতিরিক্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শারীরিক অনুশীলন এবং স্বাস্থক্যর জীবনচারণে বাধা সৃষ্টি করে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি
০৭) গুগুল ফর্ম কি? সফটকপি বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: গুগল ফর্ম হলো গুগলের একটি অনলাইন ভিত্তিক সেবা, যেখানে আপনি খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন, পাশাপাশি অনলাইন জরিপের কাজ করতে পারবেন।
সফটকপি: সফটকপি বলতে কোনো তথ্য বা উপকরণকে ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণ করাকে বোঝায়।
০৮) নির্দিষ্ট কনটেন্ট এর মাঝে কী থাকে?
উত্তর: নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু
০৯) কীভাবে নিরাপদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা যায়?
উত্তর: গোপনীয়তা সেটিংস কনফিগার করা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল এবং পোস্টের গোপনীয়তা সেটিংস পরীক্ষা করা এবং সেগুলো পছন্দ অনুসারে কনফিগার করা।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা: অ্যাকাউন্টের জন্য একটি শক্তিশালী এবং ইউনিক পাসওয়ার্ড তৈরি করা। পাসওয়ার্ডে অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। একই পাসওয়ার্ড বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করা।
দুই-ধাপ প্রমাণীকরণ (Two-Factor Authentication): সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে দুই-ধাপ প্রমাণীকরণ সক্রিয় করা। এটি একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা স্তর যোগ করে, যেখানে লগইন করার সময় একটি কোড ফোনে পাঠানো হয়।
অজানা লিঙ্ক এবং ফাইল থেকে দূরে থাকা: অজানা বা সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক না করা এবং অপরিচিত ব্যবহারকারীদের থেকে আসা ফাইল ডাউনলোড না করা। এগুলো ম্যালওয়্যার বা ভাইরাস হতে পারে।
ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা এড়িয়ে চলা: বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করা। এটি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
সামাজিক মিডিয়া অ্যাকাউন্টের নিয়মিত পর্যালোচনা: ফ্রেন্ড লিস্ট এবং অনুসরণ করা অ্যাকাউন্টগুলি নিয়মিত পর্যালোচনা করা। অপ্রয়োজনীয় বা সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক বা আনফলো করা।
অ্যাপস এবং সাইটগুলির অনুমতি পরীক্ষা করা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত তৃতীয় পক্ষের অ্যাপস এবং সাইটগুলির অনুমতি এবং অ্যাক্সেস পর্যালোচনা করা। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস সরিয়ে ফেলা।
ইন্টারনেটের ওপর সচেতনতা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী শেয়ার করছেন তা সম্পর্কে সচেতন থাকা। একটি সচেতন ও দায়িত্বশীল ব্যবহারকারী হয়ে উঠুা।
১০) ভুল তথ্য কিভাবে ছড়ায়? পাসওয়ার্ড কি?
ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ায় ৩৬ নং প্রশ্নের উত্তর দেখুন।
পাসওয়ার্ড: পাসওয়ার্ড হলো এমন এক ধরনের তালা যা ব্যবহারকারীর তথ্য, উপাত্ত ও সফটওয়্যারের নিরাপত্তায় ব্যবহৃত হয়।
ডিজিটাল প্রযুক্তি
১১) প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করার সুবিধাগুলো কি কি?
উত্তর: (ক) দৈনন্দিন জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করা।
(খ) কাজকে সহজবোধ্য করা।
(গ) অফিসের কাজ কর্ম নিয়ন্ত্রন করা।
(ঘ) সময় কম লাগা।
(ঙ) যে কোন জায়গা থেকে কাজ করা।
(চ) তথ্য বহল সহজ হওয়া।
১২) ফিশিং আক্রমণে সাধারণত কি হয়?
উত্তর: ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়।
১৩) কপিরাইট বলতে কি বুঝায়?
উত্তর: একজন লেখকের রচিত পুস্তক বা গ্রন্থের ওপর তার মুদ্রণ, পুনঃমুদ্রণ ও প্রকাশের অধিকারকেই বলা হয় কপিরাইট।
১৪) ই-কমার্সের মাধ্যমে কীভাবে আর্থিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাচ্ছে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বর্তমানে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এটি অর্থ উপার্জনের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে তাদের পণ্য বা সেবার প্রচার এবং প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে ব্যবসাকে আরো তরান্বিত করে। এছাড়া ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এই কর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে কর্মসংস্থানের হার এবং জাতীয় আয়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পণ্যের সঠিক প্রচারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ যা স্থানীয় উৎপাদন ব্যবসাকে আরো ত্বরান্বিত করে থাকে। এছাড়া ই-কমার্স লেনদেন সরকারের জন্য কর রাজস্বে অবদান রাখে, পাবলিক সার্ভিসে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহায়তা করে। অপরদিকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের লেনদেনে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের ব্যবহার সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
ডিজিটাল প্রযুক্তি
১৫) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে একটি নাগরিক সেবা গ্রহণের কী কী ধাপ অনুসরণ করতে হয়?
উত্তর: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে একটি নাগরিক সেবা গ্রহণের নিন্মোক্ত ধাপ অনুসরণ করতে হয়-
(ক) প্রয়োজনীয় সেবা নির্ধারণ
(খ) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান চিহ্নিতকরণ
(গ) আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা
(ঘ) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা
(ঙ) অনলাইনে আবেদন
(চ) আবেদন ফ্রি প্রদান
(ছ) আবেদন ট্রাকিং
(জ) সেবা গ্রহণ
১৬) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম কী?
উত্তর: ইন্টারনেটভিত্তিক যেকোনো সেবা বা পণ্যকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বলা হয়।
১৭) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের সুবিধাগুলো লিখ।
উত্তর: বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্স ও ফ্রীলান্সিং ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করছে। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলকারখানায় অটোমেশন, অফিসে ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ এসকল প্রযুক্তি আমাদের দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের অর্থনীতিকে ক্রমান্বয়ে সমৃদ্ধ করছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দূরত্ব অনেক কমিয়ে এনেছে। মুহূর্তের মধ্যেই আমরা ফেইসবুক ও ইন্সটাগ্রামের মাধ্যমে সকলের আপডেট জানতে পারি। আমরা বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে অডিও, ভিডিওসহ অন্যান্য মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারি।
ইন্টারনেট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা সহজেই তাদের পণ্য এবং সেবা বাজারজাত করতে পারছেন। ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন দেশীকমার্স, দারাজ, চালডাল ইত্যাদির মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি হচ্ছে । এছাড়া, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম যেমন বিকাশ, রকেট ইত্যাদি ব্যবহার করে লেনদেন করা সহজ হয়েছে।
আমরা করোনাভাইরাস মহামারির সময় শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার স্পষ্টভাবে দেখেছি। অনলাইন ক্লাস ও ডিজিটাল লাইব্রেরি এখন শিক্ষা গ্রহণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। এমনকি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা বিশ্বের অন্যান্য ছাত্র শিক্ষকের সাথেও সংযোগ হতে পারি।
সরকারি অনেক সেবা এখন অনলাইনে গ্রহণ করা যায়। ই-পাসপোর্ট ও অনলাইন ট্যাক্স প্রদান এর মতো সেবাগুলো জনগণ স্বল্প সময়ে করতে পারি।
বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জীবন এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে সহজ ও গতিশীল করেছে। আমরা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সহজেই টাকা লেনদেন করতে পারি। অনলাইনে স্বাস্থ্য পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসেই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারছি। সোশ্যাল মিদিয়াগুলো ব্যবহার করে সবার সাথে সহজে যোগাযোগ করছি।
১৮) টার্গেটগ্রুপ কি? চাহিদা বিশ্লেষণ করে একটি সেবা পরিকল্পনা তৈরি কর।
উত্তর: কোনো নির্দিষ্ট দর্শক বা শ্রোতাকে উদ্দেশ্য করে মিডিয়ার মাধ্যমে কোনো কনটেন্ট যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি প্রচারিত হলে সেই নির্দিষ্ট দর্শক বা শ্রোতাকে লক্ষ্য দল বা টার্গেট গ্রুপ বলে।
টার্গেট গ্রুপের চাহিদা বিশ্লেষণ করে একটি সেবা পরিকল্পনা তৈরি করতে হলে প্রথমে তাদের চাহিদার ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বাজারের দোকানদারদের প্রধান চাহিদা হলো তাদের তাদের ব্যবসার প্রচার ও প্রসার করা। তারা চায় যে তাদের দোকানের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে বেশি মানুষ জানুক। এছাড়াও তারা চায় যে তাদের দোকানে ক্রেতার ভিড় বাড়ুক।
এ চাহিদা বিচেচনা করে নিন্মলিখিত বিষয় অন্তভুক্ত করা যেতে পারে-
সেবার উদ্দেশ্য: দোকানদারদের ব্যবসার প্রচার ও প্রসার করা।
সেবার বিষয়বস্তু: দোকানের পণ্য ও সেবা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা।
সেবার লক্ষ্য: দোকানের ক্রেতাদের সংখ্যা বৃ্দ্ধি করা।
সেবা প্রধানের মাধ্যম: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
সেবা প্রদানের প্রদ্ধতি: দোকানদারদের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজ ব্যবহার করা।
ডিজিটাল প্রযুক্তি
১৯) ই-কমার্সের মাধ্যমে কীভাবে আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করা যায়? বর্ণনা কর।
উত্তর: বর্তমানে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আর্থিক স্বচ্ছলতা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এটি অর্থ উপার্জনের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীরা ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতার বাইরে গিয়ে তাদের পণ্য বা সেবার প্রচার এবং প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে ব্যবসাকে আরো তরান্বিত করে। এছাড়া ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন সেক্টরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। এই কর্মসংস্থান সৃষ্টির ফলে কর্মসংস্থানের হার এবং জাতীয় আয়ের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। পণ্যের সঠিক প্রচারের মাধ্যমে পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ যা স্থানীয় উৎপাদন ব্যবসাকে আরো ত্বরান্বিত করে থাকে। এছাড়া ই-কমার্স লেনদেন সরকারের জন্য কর রাজস্বে অবদান রাখে, পাবলিক সার্ভিসে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে অর্থায়নে সহায়তা করে। অপরদিকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের লেনদেনে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ের ব্যবহার সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক অবকাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
২০) ওয়েভসাইট কি?
উত্তর: ওয়েবসাইট (Website) হলো ইন্টারনেটে অবস্থিত পাঠ্য, ছবি, ভিডিও, অডিও এবং অন্যান্য ডিজিটাল সামগ্রীর একটি সংগ্রহ।
২১) ৩টি সংখ্যা নাও এবং তাদের গুণফলকে ২ দ্বারা ভাগ করে ভাগফলের প্রিন্ট করার জন্য একটি সুডোকোড লিখ।
উত্তর: ৩টি সংখ্যার গুণফলকে ২ দ্বারা ভাগ করে ভাগফলের মান প্রিণ্ট করার সুডোকোডটি নিন্মরূপ-
(ক) প্রথম ইনপুট নেই।
(খ) দ্বিতীয় ইনপুট নেই।
(গ) তৃতীয় ইনপুট নেই
(ঘ) ঘ = ক × খ × গ
(ঙ) ভাগফল = ঘ ÷ ২
(চ) ভাগফল প্রিন্ট করি।
২২) প্রোগ্রামিং ভাষা কাকে বলে? কয়েকটি প্রোগ্রামিং ভাষার নাম উল্লেখ কর।
উত্তর: কম্পিউটারের মাধ্যমে কোনো সমস্যা সমাধান করতে চাইলে কম্পিউটারকে নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কিছু দিক-নির্দেশনা দিতে হয়। এই দিক-নির্দেশনাগুলোকে প্রোগ্রাম বলা হয়। আর এই প্রোগ্রাম লেখার কৌশলকেই প্রোগ্রামিং ভাষা বলা হয়।
কয়েকটি প্রোগ্রামিং ভাষা হলো-
সি, সি++, পাইথন, জাভা, C#, php, perl, visual banc ইত্যাদি।
ডিজিটাল প্রযুক্তি
২৩) ভ্যারিয়েবল কী?
উত্তর: ভ্যারিয়েবল হচ্ছে কম্পিউটার মেমোরি একটি নির্দিষ্ট জায়গা যেখানে বিভিন্ন মান সংরক্ষণ করে রাখা যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা যায়।
২৪) মেশিন কোড কাকে বলে?
উত্তর: মেশিন কোড হলো একটি প্রাথমিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা যা সরাসরি কম্পিউটার প্রসেসরের দ্বারা বোঝা যায় এবং কার্যকরী হয়। এটি বাইনারি ফর্ম্যাটে থাকে, যা শুধুমাত্র 0 এবং 1 (বিট) দ্বারা গঠিত। মেশিন কোড কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার স্তরে কাজ করে এবং এটি সফটওয়্যার বা উচ্চ স্তরের ভাষার মাধ্যমে তৈরি করা হয়।
২৫) ইন্টারপ্রেটার কাকে বলে?
উত্তর: ইন্টারপ্রেটার একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা প্রোগ্রামিং বা স্ক্রিপ্টিং ভাষাকে সরাসরি মেশিন ভাষায় রূপান্তর করে।
২৬) কম্পাইলার বা ইন্টারপ্রেটার কী কাজ করে?
উত্তর: কম্পাইলার এবং ইন্টারপ্রেটার উভয়ই এমন এক ধরণের অনুবাধক প্রোগ্রাম যা আমাদের লেখা High Level ল্যাঙ্গুয়েজকে কম্পিউটার দ্বারা বোধগম্য Low Level ল্যাঙ্গুয়েজ অথবা Binary কোড এ রূপান্তর করে।
২৭) Pseudo শব্দের অর্থ কি? সুডোকোড কখন তৈরি করতে হয়?
উত্তর: Pseudo শব্দের অর্থ হল ছদ্ম বা কৃত্রিম। এটি একটি গ্রীক শব্দ।
২৮) কম্পাইলার কীভাবে কাজ করে? কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটারের এর মাঝে পার্থক্য কি?
উত্তর: কম্পাইলার এর কাজ হলো সোর্সকোডকে অ্যাসেম্বলি কোডে পরিনত করা।
পরবর্তীতে অ্যাসেম্বলার অ্যাসেম্বলি কোডকে মেশিনকোড এ পরিনত করে। কম্পিউটারের মাইক্রোপ্রসেসর এই মেশিনকোড বুঝতে পারে এবং সেই অনুযায়ী কর্মসম্পাদন করে।
কম্পাইলার ৪ টি ধাপে তার কাজ সম্পাদন করে। যেমনঃ
- প্রি-প্রসেসিং
- কম্পাইলেসন
- অ্যাসেম্বলি
- লিঙ্কিং
প্রি-প্রসেসিংঃ এটি হচ্ছে সর্বপ্রথম পর্যায়। এই পর্যায়ে আমাদের লিখা সোর্স ফাইল থেকে সকল ধরনের কমেন্ট রিমুভ এবং ইনক্লুডেড হেডার ফাইল ও ম্যাক্রোগুলোকে এক্সপান্ড করে।
কম্পাইলেসনঃ কম্পাইলেসন হচ্ছে দ্বিতীয় পর্যায়, এই পর্যায়ে প্রি প্রসেসড ফাইলটিকে একটি অ্যাসেম্বলি ফাইলে রূপান্তর করা হয় , যা কিনা অ্যাসেম্বলার বুঝতে পারে।
অ্যাসেম্বলিঃ এটা তৃতীয় ধাপ। এই পর্যায়ে অ্যাসেম্বলার অ্যাসেম্বলি ফাইলটিকে ইনপুট হিসেবে নেয় এবং মেশিন লেভেল ইন্সট্রাকশনে পরিবর্তন করে। উল্লেখ্য, এই ইন্সট্রাকশন গুলো মানুষ এর পক্ষে পড়ে বোঝা সম্ভব না এগুলো শুধুমাত্র কম্পিউটার ই বুঝতে পারে।
লিঙ্কিংঃ চতুর্থ ও সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে লিঙ্কিং। এই ধাপে আমরা যত সিস্টেম ফাংশন কল করেছি তা লিঙ্ক করা হবে এবং এক্সিকিউটেবল তৈরি করা হবে। লিঙ্কার জানে কোথায় কোন ফাংশন ইমপ্লিমেন্ট করা আছে, সে সেই অনুযায়ী প্রোগ্রামে কল করা সকল ফাংশন লিঙ্ক করে। এরপরে, প্রোগ্রামের স্বার্থে লিঙ্কার আরও কিছু কোড আমাদের প্রোগ্রামে যুক্ত করে এবং এক্সিকিউটেবল ফাইল তৈরি করে। যেটিকে রান করলে আমরা প্রোগামটির আউটপুট পাই।
কম্পাইলার ও ইন্টারপ্রেটারের এর মাঝে পার্থক্য-
কম্পাইলার পুরো প্রোগ্রাম একবারে রূপান্তর করে, ইন্টারপ্রেটার প্রতি লাইন রূপান্তর করে।
২৯) ক্যানভা কী ধরনের সফটওয়্যার?
উত্তর: অনলাইন গ্রাফিক্স সফটওয়্যার
ডিজিটাল প্রযুক্তি
৩০) পাইথন প্রোগ্রামে কারো নাম প্রিন্ট করাকে কোন ধরনের ডাটা টাইপ বলা হবে?
উত্তর: স্ট্রিং ডেটা টাইপ।
৩১) মিটিং সফটওয়্যার বলতে কী বোঝায়? কয়েকটি মিটিং সফটওয়্যারের নাম লিখ।
উত্তর:
কয়েকটি মিটিং সফটওয়্যার হলো-
- Zoom (জুম)
- Discord (ডিসকর্ড)
- Jitsi Meet (জিটসি মিট)
- Telegram (টেলিগ্রাম)
- গুগল মিট (Google Meet)
৩২) পাইথন ডাউনলোড করা যায় কোথা থেকে?
উত্তর: পাইথনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট python.org থেকে।
৩৩) সুডোকোড/ ফ্লো-চার্ট এ কি থাকে?
উত্তর: সমস্যার সমাধান।
৩৪) বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন কোন সংখ্যা থাকে?
উত্তর: ০ ও ১
৩৫) তথ্যের উৎসগুলো কি কি?
উত্তর: (ক) প্রাথমিক তথ্য বা মূল তথ্য
(খ) মাধ্যমিক বা পরোক্ষ তথ্য
ডিজিটাল প্রযুক্তি
৩৬) কিভাবে কোন তথ্য বিকৃত হতে পারে?
উত্তর: সত্য সংবাদ মিথ্যা শিরোনামের মাধ্যমে।
খ) মতামতকে প্রকৃত ঘটনা হিসাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে।
গ) তথ্য বদলে ফেলার মাধ্যমে।
ঘ) বানোয়াট তথ্যকে সত্য বলে প্রচার করার মাধ্যমে।
ঙ) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এড়িয়ে সংবাদের প্রসঙ্গ বদলে ফেলার মাধ্যমে।
৩৭) অধিতথ্য কী? কিশোর বাতায়ন শিক্ষার্থীদের জন্য কী ভূমিকা পালন করে থাকে?
উত্তর: কোনো তথ্যের সম্পর্কে তথ্যকে অধিতথ্য বলে।
কিশোর বাতায়ন শিক্ষার্থীদের জন্য যে ভূমিকা পালন করে থাকে-
ক) যেকোন স্থান থেকে যেকোন সময় ক্লাশের ভিডিও দেখার ব্যবস্থা করে।
খ) ক্লাশ, বিষয় ও অধ্যায় অনুযায়ী সার্চ দিয়ে সে অনুযায়ী লেকচার দেখার সুযোগ
গ) একাধিকবার ক্লাশ দেখার সুযোগ
ঘ) যে কোন ক্লাশের বই পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করে পড়ার সুযোগ
ঙ) পছন্দের লেখকের বই ডাউনলোড করে পড়ার সুযোগ
চ) মজার মজার কমিকস পড়ার সুযোগ
ছ) সৃজনশীল কাজ আপলোডের মাধ্যমে সারা দেশের কিশোর-কিশোরীদের জানানোর সুযোগ
জ) জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন দক্ষতার জ্ঞান অর্জন।