অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
বিষয়: বাংলা
শ্রেণি: ৭ম
এক কথায় উত্তর:
০১) যখন কোনো শব্দ বাক্য গঠন করে, তখন তার সঙ্গে কী যুক্ত হয়?
উত্তর: লগ্নক
০২)যেসব পদে লগ্নক যুক্ত হয় সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: সলগ্নক পদ।
০৩) যেসব পদে লগ্নক যুক্ত হয় না তাকে কী বলে?
উত্তর: অলগ্নক পদ।
০৪) বাংলা ভাষায় কত প্রকার শব্দের শ্রেণি রয়েছে?
উত্তর: আট প্রকার।
০৫) ভাষায় ব্যবহৃত যে শব্দ কোনো কিছুর নাম বোঝায় তাকে কী বলে?
উত্তর: বিশেষ্য।
০৬) ‘মানুষ’, ‘পশু’, ‘বাঙালি’, ‘নদী’ শব্দগুলো কোন ধরনের শব্দ?
উত্তর: বিশেষ্য।
০৭) ‘অগ্নিবীণা’ কোন ধরনের শব্দ?
উত্তর: বিশেষ্য।
০৮) দুটি বিশেষ্যবাচক শব্দ লেখো।
উত্তর: সততা, সমিতি।
০৯) যে পদ কোনো বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় তাকে কী বলে?
উত্তর: সর্বনাম পদ।
১০) ইমা, মুনিরা ইত্যাদি নামশব্দের পরিবর্তে কোন সর্বনাম ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: সে বা তার।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
১১) তুমি, তোমার, আপনি, আপনাকে, তুই, তোর, তোকে, সে, তার ইত্যাদি শব্দগুলো কোন শব্দশ্রেণির অন্তর্ভুক্ত?
উত্তর: সর্বনাম।
১২) ‘তাকে আমি চিনি।’ এখানে সর্বনাম পদ কোনটি?
উত্তর: তাকে।
১৩) যে শব্দ বিশেষ্য বা অন্য শব্দের বৈশিষ্ট্য যেমন: গুণ, দোষ, সংখ্যা, পরিমাণ, অবস্থা ইত্যাদি নির্দেশ করে তাকে কী বলে?
উত্তর: বিশেষণ।
১৪) বিশেষণ শব্দ সাধারণত বিশেষ্য শব্দের কোথায় বসে?
উত্তর: আগে।
১৫) ‘লাল গোলাপ’- এখানে বিশেষণ শব্দ কোনটি?
উত্তর: লাল।
১৬) ‘পাঁচ কেজি’- এখানে ‘পাঁচ’ কোন শ্রেণির শব্দের উদাহরণ?
উত্তর: বিশেষণ।
১৭) ‘প্রৌঢ়া ঠান্ডা পানি খেয়ে তৃপ্ত।’- বাক্যটিতে ‘ঠান্ডা’ শব্দটি কোন শব্দকে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করেছে?
উত্তর: পানি।
১৮) বাক্যের উদ্দেশ্য বা কর্তা কী করে বা কর্তার কী ঘটে বা হয়, তা যেসব শব্দ দিয়ে নির্দেশ করা হয় সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: ক্রিয়া।
১৯) ভাবপ্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া কত প্রকার?
উত্তর: দুই প্রকার। যথা: সমাপিকা ক্রিয়া ও খ. অসমাপিকা ক্রিয়া।
২০) যে ক্রিয়া বাক্যের অর্থগত পূর্ণতা দেয় তাকে কী বলে?
উত্তর: সমাপিকা ক্রিয়া।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
২১) যে ক্রিয়া বাক্যের অর্থ ও গঠনগত পূর্ণতা দেয় না তাকে কী বলে?
উত্তর: অসমাপিকা ক্রিয়া।
২২) যে শব্দ ক্রিয়ার অবস্থা, সময় ইত্যাদি নির্দেশ করে তাকে কী বলে?
উত্তর: ক্রিয়াবিশেষণ।
২৩) বিশেষণের পরের পদটি যদি ক্রিয়া হয় তরে সেই বিশেষণকে কী বলে?
উত্তর: ক্রিয়াবিশেষণ।
২৪) একটি ক্রিয়াবিশেষণের উদাহরণ দাও।
উত্তর: মেয়েটি সকালে গান করে।
২৫) ‘লোকটি চিৎকার করছে।’ এখানে কোন শব্দটি ক্রিয়াবিশেষণ?
উত্তর: চিৎকার।
২৬) যেসব শব্দ কোনো শব্দের পরে বসে শব্দটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে, সেসব শব্দকে কী বলে?
উত্তর: অনুসর্গ।
২৭) অনুসর্গের অন্য নাম কী?
উত্তর: পরসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয়
২৮) ‘সে কাজ ছাড়া কিছু বোঝে না।’- এখানে ‘ছাড়া’ শব্দটি কোন শব্দশ্রেণির উদাহরণ?
উত্তর: অনুসর্গ।
২৯) ‘তোমার দ্বারা এ কাজ হবে না।’- এখানে কোন শব্দটি অনুসর্গ?
উত্তর: দ্বারা
৩০) শব্দ বা বাক্যের অংশকে যুক্ত করে যেসব শব্দ, সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: যোজক।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
৩১) যোজকের মাধ্যমে একাধিক শব্দ কী হয়?
উত্তর: পদবদ্ধ।
৩২) যোজকের মাধ্যমে একাধিক বাক্য কী হয়?
উত্তর: সংযোজিত বা সম্পর্কিত।
৩৩) ও, এবং, আর, অথবা, তবু, সুতরাং, কিন্তু, কারণ, তবে ইত্যাদি কীসের উদাহরণ?
উত্তর: যোজকের।
৩৪) ‘ছেলেটি গরিব কিন্তু মেধাবী।’- এখানে যোজক কোনটি?
উত্তর: কিন্তু।
৩৫) যে শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সঙ্গে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে মনের বিশেষ ভাব বা আবেগ প্রকাশ করে, তাকে কী বলে?
উত্তর: আবেগ শব্দ।
৩৬) আবেগ শব্দ কীভাবে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: স্বাধীনভাবে।
৩৭) আমরা উল্লাস প্রকাশ করতে কোন শব্দ ব্যবহার করি?
উত্তর: আবেগ শব্দ।
৩৮) বিস্ময় প্রকাশ করতে কোন শ্রেণির শব্দ ব্যবহার করা হয়?
উত্তর: আবেগ শব্দ।
৩৯) ‘হায় হায়! তার সর্বনাশ হয়েছে।’- বাক্যে আবেগ শব্দ কোনটি?
উত্তর: হায় হায়।
৪০) ছি ছি, শাবাশ, হায় হায়, মা গো মা, ওমা ইত্যাদি কোন শ্রেণির শব্দ?
উত্তর: আবেগ শব্দ।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
৪১) অর্থগত দিক থেকে বাক্য কত প্রকার?
উত্তর: চার প্রকার।
৪২) যে বাক্যে কোনো কিছুর বিবরণ প্রকাশ পায়, তাকে কোন বাক্য বলে?
উত্তর: বিবৃতিবাচক বাক্য।
৪৩) বিবৃতিবাচক বাক্যের অপর নাম কী?
উত্তর: বর্ণনাসূচক বাক্য।
৪৪) ‘সোহান আগামীকাল ঢাকা যাবে।’- এটি কোন ধরনের বাক্য?
উত্তর: বিবৃতিবাচক বাক্য।
৪৫) যে বাক্যে কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয়, তাকে কোন বাক্য বলে?
উত্তর: প্রশ্নবাচক বাক্য।
৪৬) যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, আবেদন, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝায়, তাকে কোন ধরনের বাক্য বলে?
উত্তর: অনুজ্ঞাসূচক বাক্য।
৪৭) যে বাক্যে মনের আকস্মিক আবেগ বা উচ্ছ্বাস প্রকাশ পায়, তাকে কোন ধরনের বাক্য বলে?
উত্তর: আবেগবাচক বাক্য।
৪৮) আবেগবাচক বাক্যের আরেক নাম কী?
উত্তর: বিস্ময়সূচক বাক্য।
৪৯) শব্দের মূল উপাদানের সঙ্গে অন্য উপাদান যোগ হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে কী বলে?
উত্তর: শব্দগঠন।
৫০) শব্দ ছাড়া কী হয় না?
উত্তর: বাক্য।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
৫১) মানুষ বাক্যে কী ধরনের শব্দ ব্যবহার করে মনের ভাব প্রকাশ করে?
উত্তর: অর্থপূর্ণ।
৫২) শব্দগঠনের কয়েকটি উপায় লেখো।
উত্তর: প্রত্যয়যোগে শব্দগঠন; উপসর্গযোগে শব্দগঠন; সমাসযোগে শব্দগঠন।
৫৩) একাধিক শব্দের একসঙ্গে যুক্ত হয়ে এক শব্দগঠনকে কী বলে?
উত্তর: সমাস।
৫৪) যেসব শব্দের দুটি অংশই অর্থযুক্ত সেসব শব্দকে কী বলা হয়?
উত্তর: সমাস-সাধিত শব্দ।
৫৫) শব্দগঠনের একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার নাম কী?
উত্তর: সমাস।
৫৬) ‘কাজলকালো’ কোন ধরনের শব্দ?
উত্তর: সমাস-সাধিত শব্দ।
৫৭) ‘বিষাদসিন্ধু’ সমাস-সাধিত শব্দটির গঠন দেখাও।
উত্তর: বিষাদ + সিন্ধু।
৫৮) যেসব শব্দের প্রথম অংশ সাধারণত কোনো অর্থ প্রকাশ করে না, কিন্তু দ্বিতীয় অংশের সুনির্দিষ্ট অর্থ থাকে, তাদেরকে কী বলে?
উত্তর: উপসর্গ-সাধিত শব্দ।
৫৯) উপসর্গের কাজ কী?
উত্তর: নতুন শব্দগঠন করা।
৬০) অনা, আ, কদ, বে ইত্যাদি কীসের উদাহরণ?
উত্তর: উপসর্গ।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
৬১) উপসর্গ-সাধিত শব্দের প্রথম অংশ কী প্রকাশ করে না?
উত্তর: অর্থ।
৬২) উপসর্গ-সাধিত শব্দের কোন অংশের সুনির্দিষ্ট অর্থ থাকে?
উত্তর: দ্বিতীয় অংশ।
৬৩) ‘নিমরাজি’ শব্দটির গঠন দেখাও।
উত্তর: নিম + রাজি।
৬৪) যেসব শব্দের প্রথম অংশ অর্থযুক্ত এবং দ্বিতীয় অংশ অর্থহীন, সেসব শব্দকে কী বলা হয়?
উত্তর: প্রত্যয়-সাধিত শব্দ।
৬৫) প্রত্যয় কোথায় যুক্ত হয়ে নতুন শব্দগঠন করে?
উত্তর: শব্দের শেষে।
৬৬) ক্রিয়ামূলের অপর নাম কী?
উত্তর: ধাতু।
৬৭) প্রত্যয়-সাধিত শব্দের কোন অংশ অর্থযুক্ত?
উত্তর: প্রথম অংশ।
৬৮) ‘কর্তব্য’ শব্দটির গঠন দেখাও।
উত্তর: কৃ + তব্য।
৬৯) ভাষা ব্যবহারের অন্তর্নিহিত কারণ কী?
উত্তর: মনের ভাব প্রকাশ করা।
৭০) বক্তা ও শ্রোতার মধ্যে সংযোগ ঘটে কীসের মাধ্যমে?
উত্তর: শব্দ বা শব্দগুচ্ছের মাধ্যমে।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
৭১) আমাদের মনের ভাব পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে গেলে কী দরকার?
উত্তর: শব্দশ্রেণির সুবিন্যস্ত প্রয়োগ হওয়া দরকার।
৭২) যে সকল শব্দ তাদের আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত হয়, তাদের কী বলে?
উত্তর: মুখ্য অর্থ।
৭৩) একটি শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে মনে যে ছবি ভেসে ওঠে সেটি শব্দের কী?
উত্তর: মুখ্য অর্থ।
৭৪) যে সকল শব্দ তাদের আভিধানিক অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে অন্য কোনো বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়; ওই অন্য অর্থগুলোকে কী বলে?
উত্তর: ওই সকল শব্দের গৌণ অর্থ।
৭৫) ভাষায় এমন অনেক শব্দ রয়েছে, যাদের অর্থ অভিন্ন। এরকম অভিন্ন অর্থবিশিষ্ট শব্দকে কী বলে?
উত্তর: প্রতিশব্দ।
৭৬) প্রতিশব্দের অন্য নাম কী?
উত্তর: সমার্থক শব্দ।
৭৭) প্রতিশব্দগুলো কী রকম অর্থ প্রকাশ করে?
উত্তর: কাছাকাছি অর্থ।
৭৮) রচনাকে প্রাঞ্জল করার জন্য কী জানা প্রয়োজন?
উত্তর: প্রতিশব্দ।
৭৯) কোনো শব্দ ভাব বা অর্থের দিক থেকে অন্য কোনো শব্দের পুরোপুরি বিপরীত হলে তাকে কী বলে?
উত্তর: বিপরীত শব্দ।
৮০) ভাষার প্রধান উপাদান কী?
উত্তর: শব্দ।
অর্থ বুঝে বাক্য লিখি
৮১) ‘ঠান্ডা’-এর বিপরীত শব্দ কী?
উত্তর: গরম।
৮২) ‘আকর্ষণ’-এর বিপরীত শব্দ কী?
উত্তর: বিকর্ষণ।
৮৩) ‘ইতিবাচক’-এর বিপরীত শব্দ কী?
উত্তর: নেতিবাচক।
৮৪) ‘নতুন’-এর বিপরীত শব্দ কী?
উত্তর: পুরোনো।
৮৫) ভাব ও অর্থ স্পষ্ট করার জন্য বাক্যের মধ্যে ও শেষে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে কী বলে?
উত্তর: যতিচিহ্ন।
৮৬) শ্বাসবিরতি নির্দেশ করা ও বক্তব্যের অর্থবোধে সহায়তা করা করতে হয়? উত্তর: পূর্ণচ্ছেদ। প্রশ্ন-৬. উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত প্রয়োগ কার কাজ?
উত্তর: যতিচিহ্নের।
৮৭) যতিচিহ্নের অন্য নাম কী?
উত্তর: বিরামচিহ্ন।
৮৮) এক বলার দ্বিগুণ সময়কাল থামতে হয় কোন যতিচিহ্নে?
উত্তর: সেমিকোলন।
৮৯) দাঁড়িচিহ্নের অপর নাম কী?
উত্তর: পূর্ণচ্ছেদ।
৯০) উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত প্রয়োগ করতে গেলে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়?
উত্তর: কোলনচিহ্ন।