সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
বাংলা
৭ম শ্রেণি
রচনামূলক প্রশ্ন
১) কবিতা কাকে বলে? কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো।
উত্তর: সাহিত্যের যে শাখায় কবি-ভাবনার ছন্দময় প্রকাশ ঘটে, তা-ই কবিতা। বিষয়টিকে আরও সহজ করে বলা যায়, ছন্দ বজায় রেখে লেখা রচনাই কবিতা। সাহিত্যের অন্য সকল শাখার মতো কবিতায়ও কবির ব্যক্তিগত আবেগ-অনুভূতি বা কল্পনা, সমাজ ভাবনা, রাজনীতি ও দর্শনের প্রকাশ ঘটে। তবে গদ্যের মতো এর বক্তব্য সবসময় এতটা স্পষ্ট করে বলা থাকে না। অনেকক্ষেত্রে কবিতায় নানা বিষয়ের ইঙ্গিত থাকে। তাই কবিতা পড়ার সময় অর্থ ও ভাব বুঝে নিয়ে একে আয়ত্ত করতে হয়।
কবিতার বৈশিষ্টগুলো্য হলো-
• কবিতা ছন্দবদ্ধ হয়।
• কবিতা পদ্যে রচিত হয়।
• কবিতায় সাধারণত পরপর দুই লাইনের শেষে অন্ত্যমিল থাকে।
• হাতে তালি দিয়ে দিয়ে সুর করে কবিতা পড়া যায়।
• কবিতার লাইনগুলো সাধারণত সমান দৈর্ঘ্যের হয়।
• কবিতায় সাধারণত কোনো কাহিনি থাকে না।
• কবিতায় সাধারণত কোনো সংলাপ থাকে না।
• কবিতা পাঠ বা আবৃত্তি করা যায়।
২) ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পের প্রাসঙ্গিকতা আলোচনা করো।
উত্তর: দশ বছরের ছেলে আবুর খুব ইচ্ছা বর্ষার বৃষ্টিঝরা রাতে বড়ো ভাইদের সঙ্গে বিলে মাছ ধরতে যাবে। কিন্তু ছোটো বলে তারা আবুকে সঙ্গে নিতে চায় না। তাই মাছ ধরতে যাওয়ার দিন আবু আগেই নৌকার খোলে লুকিয়ে রইল। একপর্যায়ে আবু ধরা পড়লেও তাকে শেষপর্যন্ত সঙ্গে নেওয়া হয়। দেখা যায়, সে মাছ ধরার জন্য অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে তেলাপোকাও নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে বড়োরা বেশ হাসি-তামাশা করে। বিলে গিয়ে আবুকে নৌকায় রেখে সবাই মাছ ধরতে চলে গেলে সে বড়শি ফেলে অপেক্ষা করতে থাকে। অবশেষে নানা কৌশলে আবু বড়ো একটা মাছ ধরে ফেলে। বড়ো ভাইয়েরা অবশ্য সে-রাতে পুঁটিমাছ ছাড়া আর কোনো মাছই ধরতে পারেনি। তারা নৌকায় বিশাল আকৃতির বোয়াল মাছ দেখে অবাক হয়ে যায়। বয়সে ছোটো বলে কাউকে অবহেলা করতে নেই, কিংবা বয়সে বড়ো হলেই কোনো কাজে কেউ সফলতা লাভ করবে, তা-ও নয়- গল্পটিতে এই সত্য ধরা পড়েছে।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৩) নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো।
নোলক, মিনতি, ধন, আহার, বাঁকিয়ে।
উত্তর: নোলক – আমার বোন নোলক পরতে ভালোবাসে।
মিনতি – অন্যায়কারীর কাছে মিনতি করতে নেই। –
ধন – ধন-সম্পদ কখনো শান্তি আনে না।
আহার – আহার করে নাও।
বাঁকিয়ে – বাচ্চা মেয়েটি মুখ বাঁকিয়ে চলে গেল।
৪) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতাটি পড়ে কী বুঝতে পারলে তা লেখো।
উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় ময়নামতীর চরকে ঘিরে যে প্রাকৃতিক পরিবেশ রয়েছে তার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। আলোচ্য কবিতায় এই চরকে ঘিরে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর প্রাত্যহিক জীবনের ব্যস্ততার চিত্র ফুটে উঠেছে। একটি মৃতপ্রায় নদীর চরে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর সহাবস্থান। সেখানে জেগে ওঠা চরে কৃষক যেমন জমিতে চাষ করেন, তেমনি কুমিরের মতো ভয়ংকর প্রাণীরা রোদ পোহায়। গাঙচিল মাছ ধরে, মাঠে গোরু চরে বেড়ায়। নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা এই নতুন চরে কেউ কেউ আবার কলাই আর আখ চাষ করেন। আখের খামার বুনো শূকরের কবল থেকে রক্ষা করতে রাত জেগে তাঁরা পাহারা দেন। বস্তুত, ময়নামতীর চর মানুষ ও বিভিন্ন প্রাণীর জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবুও তাদের মধ্যে কোনো কলহ নেই। রয়েছে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান।
৫) ‘মাঝি’ কবিতাটিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: ‘মাঝি’ কবিতাটিতে একটি বালকের নানা ধরনের ইচ্ছার কথা প্রকাশ পেয়েছে। যে নদীর অপর পারে যেতে চায়, যেখানে বাঁশের খোঁটায় সারে সারে ডিঙি নৌকা বাঁধা থাকে। ‘কৃষানেরা লাঙল কাঁধে ফেলে নদী পার হয়। জেলে জাল ফেলে মাছ ধরে। রাখাল ছেলে গোরু- মহিষ সাঁতরে নিয়ে যায়। যেখানে সবাই সন্ধ্যে হলেই ঘরে ফিরে আসে। ঝাউডাঙার ওখানে শেয়াল ডাকে। মা রাজি হলেই ছেলেটি খেয়াঘাটের মাঝি হবে। কারণ সে শুনেছে নদীর ওপারে জলার মতো আছে যেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে চখাচখি আসে। যেখানে ঘন শরবন আছে, কাদাখোঁচা যেখানে পায়ের চিহ্ন আঁকে। ছেলেটি এইসব কিছু নিজের চোখে দেখতে চায়। তাই সে খেয়াঘাটের মাঝি হতে চায়।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৬) ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটি পড়ে কী বুঝেছ তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: দশ বছরের ছেলে আবুর খুব ইচ্ছা বর্ষার বৃষ্টিঝরা রাতে বড়ো ভাইদের সঙ্গে বিলে মাছ ধরতে যাবে। কিন্তু ছোটো বলে তারা আবুকে সঙ্গে নিতে চায় না। তাই মাছ ধরতে যাওয়ার দিন আবু আগেই নৌকার খোলে লুকিয়ে রইল। একপর্যায়ে আবু ধরা পড়লেও তাকে শেষপর্যন্ত সঙ্গে নেওয়া হয়। দেখা যায়, সে মাছ ধরার জন্য অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে তেলাপোকাও নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে বড়োরা বেশ হাসি-তামাশা করে। বিলে গিয়ে আবুকে নৌকায় রেখে সবাই মাছ ধরতে চলে গেলে। সে বড়শি ফেলে অপেক্ষা করতে থাকে। অবশেষে নানা কৌশলে আবু বড়ো একটা মাছ ধরে ফেলে। বড়ো ভাইয়েরা অবশ্য সে-রাতে পুঁটিমাছ ছাড়া আর কোনো মাছই ধরতে পারেনি। তারা নৌকায় বিশাল আকৃতির বোয়াল মাছ দেখে অবাক হয়ে যায়। বয়সে ছোটো বলে কাউকে অবহেলা করতে নেই, কিংবা বয়সে বড়ো হলেই কোনো কাজে কেউ সফলতা লাভ করবে, তা-ও নয়- গল্পটিতে এই সত্য ধরা পড়েছে।
৭) নিচের শব্দগুলোর সমার্থক শব্দ দিয়ে একটি করে বাক্য লেখো।
শরীর, হত্যা, পানি, নারী, মুখ।
উত্তর: দেহ – মানবদেহের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম।
খুন – খুন করলে সাজা পেতে হয়।
জল – নদীর জলে নৌকা ভাসে।
মেয়ে – মেয়েটি পড়ালেখায় অনেক ভালো।
বদন – লোকটির বদন জুড়ে ছিল রিক্ততা।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
৮) ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পটি নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: আকাশে তখন বিদ্যুতের ঝলকানি, মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন, আষাঢ়ের এমন এক বৃষ্টিমুখর দিনে বড়ো ভাইয়ের সঙ্গে মৌরী বিলে মাছ ধরতে গিয়ে আবু বিশাল এক’ বোয়াল মাছ ধরেছিল। বর্ষাকালে মৌরী বিলে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। আবুর বড়ো ভাই সাজেদ তার বন্ধুদের নিয়ে মাছ ধরতে যায়। কিন্তু আবু ছোটো হওয়ার কারণে তাকে কখনো সঙ্গে নেয় না। সেদিন সাজেদ ও তার বন্ধুরা মাছ ধরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আবু তাদের সঙ্গে যাওয়ার জন্য নৌকার পাটাতনের নিচে গিয়ে শুয়ে পড়ল। মাছ ধরতে যাচ্ছে সাজেদ, তার বন্ধু বিপুল ও বায়েজিদ আর নৌকা বাওয়ার জন্য কিষান তিনু। তারা সঙ্গে নিয়েছে হারিকেন, কয়েক ধরনের জাল ও রাতের খাবার। সন্ধ্যার আগেই তারা রওনা হয়ে গেল মৌরী বিলের উদ্দেশ্যে। একটু পরেই শুরু হলো বৃষ্টি। বৃষ্টিতে হারিকেন প্রায় নিভে গেলে, পাটাতনের নিচে রাখা কেরোসিনের বোতল আনতে গিয়ে তারা আবিষ্কার করল আবু সেখানে ঘুমিয়ে আছে। আবুকে জাগিয়ে কিছুক্ষণ নিন্দামন্দ ও উপহাস করে, তিনুর জিম্মায় নৌকাতে আবুকে রেখে সাজেদ তার বন্ধুদের নিয়ে চলে গেল মাছ ধরতে।
টিনের আংটা দিয়ে বড়শি বানিয়ে নিয়ে গিয়েছিল আবু, সঙ্গে টোপ হিসেবে তেলাপোকা। দুটো বড়শিতে তেলাপোকার টোপ গেঁথে পানিতে ফেলে দিয়ে আবু নৌকায় বসে রইল। আবু শুনেছিল বোয়াল মাছ তেলাপোকা ভালোবাসে। হঠাৎ আবুর বড়শির শলা নিচের দিকে চলে গেল, টান পড়ল ছিপের রশিতে। তিনুর সাহায্যে আবু ছিপ ধরে রাখল, একটু পরে একটি মাছ ধরল তারা। বিজলির আলোয় দেখতে পেল, একটি বোয়াল মাছ, যার সাইজ অনেকটা আবুরই মতন। এদিকে সাজেদরা কোনো বড়ো মাছ ধরতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে এলো। এসে বোয়াল মাছ দেখে তারা অবাক হয়ে গেল। এত বড়ো বোয়াল কে ধরল জানতে চাইলে আবু বলল সে ধরেছে।
৯) ‘নোলক’ কবিতার মূলবক্তব্য লেখো।
উত্তর: ‘নোলক’ কবিতায় মা ও মাতৃভূমির প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা মায়ের নোলক রূপকের মাধ্যমে ফুঠে উঠেছে। কবি এ দেশের হারানো ঐতিহ্য খুঁজতে বের হয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের ঐশ্বর্য খুঁজে পেয়েছেন। প্রথমেই এসেছে এদেশের নদীর কথা। নদী তার সমৃদ্ধির উদাহরণ দিয়েছে বোয়াল মাছের প্রাচুর্যকে সামনে এনে। নদীর মনোহর প্রকৃতি ও সমৃদ্ধতার মাঝেও সেই ঐতিহ্য খুঁজে না পেয়ে কবি যখন বনের দিকে গেলেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা হলো সবুজ টিয়ের। বাংলার পাখপাখালির রূপ অদ্বিতীয় হলেও সেখানেও তিনি তাঁর মায়ের গয়না খুঁজে পাননি। আবার যখন পাহাড়ের কাছে গেলেন, তখন পাহাড়ও তার ভান্ডার থেকে কিছু সামগ্রী কবিকে দিতে চাইল। কিন্তু সেখানেও মায়ের সোনার নোলক খুঁজে না পেয়ে কবির মনে একধরনের জেদ সঞ্চারিত হলো, জন্ম নিল মায়ের গয়না ছাড়া ঘরে না ফেরার প্রত্যয়।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
১০) ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ রচনাটিকে গল্প কেন বলব? বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ রচনাটি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর রচিত। ছোটো একটি ঘটনা নিয়ে এর কাহিনি নির্মিত হয়েছে। এই গল্পের চরিত্র সংখ্যাও কম। এই রচনায় কোনো শাখাকাহিনি বা উপকাহিনি ‘নেই। এখানে আবুর জীবনের পুরো ঘটনা উঠে আসেনি। শুধু আষাঢ়ের সেই রাতে ভাইয়ের সঙ্গে মৌরী বিলে মাছ ধরার ঘটনাটির বর্ণনা আছে। গল্পটি শেষ হয়েছে নাটকীয়ভাবে, যা পাঠকের মনে অতৃপ্তির জন্ম দেয়। আবু বাড়ি ফিরে গেলে কী হয়েছিল তা জানার আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। একটি আদর্শ গল্পের সকল বৈশিষ্ট্যই ‘আষাঢ়ের এক রাতে’ গল্পে রয়েছে। তাই এই রচনাটিকে আমরা গল্প বলব।
১১) ‘নোলক’ কবিতাটি সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: ‘নোলক’ কবিতাটি লিখেছেন আল মাহমুদ। ‘নোলক’ কবিতাটি তাঁর ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’ নামক কবিতার বই থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘নোলক’ কবিতাটির চরণ শেষে মিল-শব্দ আছে। ‘নোলক’ কবিতাটির লয় বা গতি দ্রুত। ‘নোলক’ কবিতাটি একটি প্রতীকী কবিতা।
১২) ‘নোলক’ কবিতায় কবি কী খুঁজে ফিরছেন?
উত্তর: ‘নোলক’ কবিতায় নোলকের রূপকে কবি খুঁজে চলেছেন বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে। অতীতকালে আমাদের যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও জাতীয়তাবোধ ছিল, তা যেন ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনে আমাদের সংস্কৃতিও প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে অনেক ঐতিহ্যবাহী প্রথা ও কিছু চিরাচরিত মূল্যবোধ লুপ্তপ্রায়। এ কবিতায় কবি সেই হারানো ঐতিহ্যকেই খুঁজে ফিরেছেন।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
১৩) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতার মূলবক্তব্য নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতার মূলবক্তব্য নিজের ভাষায় লেখা হলো- ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় একটি নদীর চরের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন চাষিরা লাঙল দিয়ে জমি চাষ করে আর কুমিরেরা রোদ পোহায়। চরে কূলঘেঁষে সাঁতারকাটা খরশুলা আর দাঁড়িকানা মাছ ছোঁ মেরে গাঙচিল ধরে গাছে বসে খায়। সেই চরে গোরুর পাল ঘাস খায়, ঝিমায়, জাবর কাটে। সেখানে গোচর পাখির আর শালিকের আনাগোনা। নতুন চরের পলি জমিতে চাষিরা কলাই বুনেছে। শীতের রাতে চাষিরা আখখেত পাহারার জন্য বাঁশ পুঁতে মাচা করেছে। সেখানে বিচুলি দিয়ে বিছানা করে তারা পাহারা করে। রাতে বন্য শূকরের দল যাতে নদী সাঁতরে এসে আখ খেয়ে নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য চাষিরা ঠকঠকি বাজিয়ে এবং হাতে তালি দিয়ে শব্দ করে। মূলত ‘ময়নামতীর চর’ কবিতায় নদীর চরের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
১৪) নিচের শব্দগুলো দিয়ে বাক্য রচনা করো।
রোদ পোহানো, নিত্য বিহানে, বিচরিছে, খামার, পাহারা।
উত্তর: রোদ পোহানো – শীতের সকালবেলা রোদ পোহাতে ভালো লাগে।
নিত্য বিহানে – নিত্য বিহানে দাদু ভাই হাঁটতে যায়।
বিচরিছে – নদীর তীরে অনেক পাখি বিচরিছে।
খামার – মুরগির খামার করে কবিতা লাভবান হয়েছে।
পাহারা – পাখি থেকে ধান রক্ষা করতে দিনভর পাহারা দিচ্ছে কৃষক।
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি
১৫) ‘ময়নামতীর চর’ কবিতা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: ‘ময়নামতীর চর’ কবিতাটি লিখেছেন বন্দে আলী মিয়া। কবিতাটি নেওয়া হয়েছে তাঁর ‘ময়নামতীর চর’ নামক কবিতার বই থেকে। কবিতাটির চরণ শেষে মিল-শব্দ রয়েছে। কবিতাটির লয় বা গতি মাঝারি। নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা একটি চরকে কেন্দ্র করে কবিতাটি রচিত হয়েছে।
১৬) গল্পের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: গল্পের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. গল্পে কাহিনি ও চরিত্র থাকে।
২. গল্পের কাহিনি বাস্তবজীবন থেকে নেওয়া যেতে পারে আবার কল্পিতও হতে পারে।
৩. গল্পের পরিধি ছোটো হয়।
৪. একটিমাত্র বিষয়কে কেন্দ্র করে গল্প আবর্তিত হয়।
৫. গল্পে শাখাকাহিনি বা উপকাহিনি স্থান পায় না।
৬. ছোটোগল্প শেষ হয় নাটকীয়ভাবে। গল্প পড়া শেষে পাঠকের মনে অতৃপ্তি রয়ে যাবে।
৭. চরিত্র সংখ্যা অনেক হবে না।
৮. পুরো জীবনের ঘটনা উঠে আসবে না। টুকরো কোনো ঘটনা নিয়ে গল্প লেখা হবে।
৯. গল্প যেমন হঠাৎ করে শুরু হয়, তেমনি হঠাৎ করে শেষও হয়ে যায়।
আরো পড়ুন
প্রয়োজন বুঝে যোগাযোগ করি । বাংলা। অষ্টম শ্রেণি
বৃত্তের খুঁটিনাটি (দৃশ্যপটনির্ভর প্রশ্ন)। গণিত । অষ্টম শ্রেণি
তথ্য বুঝে সিদ্ধান্ত নিই। গণিত । অষ্টম শ্রেণি
সাহিত্য পড়ি লিখতে শিখি। বাংলা। ৭ম শ্রেণি।
প্রমিত ভাষায় কথা বলি। বাংলা। ৭ম শ্রেণি