বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়

বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়

বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়- ৪টি

১. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonology)

২. শব্দ বা রূপ তত্ত্ব (Morphology)

৩. বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntex)

৪. অর্থতত্ত্ব (Semantics)

এছাড়া ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় হল- অভিধানতত্ত্ব (Lexicography), ছন্দতত্ত্ব ও অলঙ্কারতত্ত্ব ইত্যাদি।

১. ধ্বনিতত্ত্বঃ  এ অংশে ধ্বনি, ধ্বনির উচ্চারণ, ধ্বনির বিন্যাস, ধ্বনির পরিবর্তন, বর্ণ, ষ-ত্ব ও ণ-ত্ব বিধান, সন্ধি, যুক্তবর্ণ প্রভৃতি আলোচিত হয়।

২. শব্দ বা রূপতত্ত্বঃ  এ অংশে শব্দের প্রকার, পদের পরিচয়, শব্দ গঠন, উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি, বচন, লিঙ্গ, ধাতু, সমাস, কারক, ক্রিয়া, পদ প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ার ভাব, অনুসর্গ, শব্দের ব্যুৎপত্তি প্রভৃতি আলোচিত হয়।

৩. বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রমঃ  এ অংশে বাক্য, বাক্যের প্রকার, বাক্য বিশ্লেষণ, বাক্য পরিবর্তন, পদক্রম, বাগধারা, বাক্য সংকোচন, বাক্য সংযোজন, বাক্য বিয়োজন, বিরাম চিহ্ন, উক্তি বাচ্য প্রভৃতি আলোচিত হয়।

৪.অর্থ তত্ত্বঃ  এ অংশে শব্দের অর্থ বিচার, বাক্যের অর্থ বিচার, শব্দের মুখ্যার্থ, শব্দের গৌণার্থ, সমার্থক শব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ, পারিভাষিক শব্দ প্রভৃতি আলোচিত হয়।

সাধু ও চলিত রীতির পার্থক্য

১. সাধুভাষায় ক্রিয়া পদের রূপ পূর্ণাঙ্গ ও সুনির্দিষ্ট। জানিলেন, বলিলেন, জানিয়া, বলিয়া

২. চলিত ভাষায় ক্রিয়াপদের রূপ সংক্ষিপ্ত। জানলেন, বললেন, জেনে, বলে

৩. যে কোন ধরনের শব্দ সাধু ও চলিত ভাষায় ব্যবহৃত হতে পারে

৪. বাংলাভাষার সাধু ও চলিতরীতির সংমিশ্রণকে বলে- গুরুচণ্ডালী দোষ

ধ্বনিতত্ত্ব

ধ্বনিঃ মুখে উচ্চারিত শব্দের ক্ষুদ্রতম একককে ধ্বনি বলে।

ধ্বনি দুই প্রকার:

১.স্বর ধ্বনি – যে ধ্বনি উচ্চারনের সময় বায়ু কোথাও বাধা  প্রাপ্ত হয় না।                                                                                                  ২.ব্যাঞ্জন ধ্বনি – যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ু বাধা প্রাপ্ত হয়।

বর্ণঃ বর্ণ হচ্ছে ধ্বনির লিখিত রূপ বা সাংকেতিক চিহ্ন। যেমন- অ, আ, ক, খ।

বাংলা বর্ণমালা ২ ভাগে বিভক্ত।

১. স্বরবর্ণ – ১১ টি (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ)।

২. ব্যাঞ্জনবর্ণ – ৩৯ টি (ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, য়, র, ল, ব, শ, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, ং ঃ, ৎ, ঁ)।

মাত্রা

বর্ণ পূর্ণমাত্রা অর্ধমাত্রা মাত্রাহীন
স্বরবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬
মোট ৩২

 

স্বরধ্বনি ২ প্রকার-

(ক) মৌলিক স্বরধ্বনি (খ) যৌগিক স্বরধ্বনি

(ক) মৌলিক স্বরধ্বনিঃ যে স্বরধ্বনিকে ভেঙ্গে উচ্চারণ করা যায় না,  বিশ্লেষণ করা যায় না তাকে মৌলিক স্বরধনি বলে। মৌলিক স্বরধ্বনি ৭টি- অ, আ, ই, এ, এ্যা, উ, ও।

(খ)   যৌগিক স্বরধ্বনিঃ পাশাপাশি দুটো স্বরধ্বনি দ্রুত উচ্চারণের সময় একটি সংযুক্ত স্বরধ্বনিরূপে উচ্চারিত হলে তাকে যৌগিক স্বরধ্বনি বলে। বাংলা ভাষাায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা মোট ২৫টি।

বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ ২টি। যথা- ঐ এবং ঔ।

হ্রস্ব স্বর- ৪টি- অ, ই, উ, ঋ।

দীর্ঘস্বর- ৭টি- আ, ঊ, ঈ, এ, ঐ, ও, ঔ।

কার  – স্বর বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে। কার ১০ টি। যথা- া,  ,ি  ী,   ু ,  ূ ,  ৃ , ে , ,ৈ াে, ে ৗ,।

নিম্নে উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী বাংলা ব্যঞ্জনধ্বনির বিভাগ দেখানো হল-

 

বর্গীয় নাম অঘোষ ঘোষ উচ্চারণ স্থলের স্থান স্থান অনুযায়ী নাম তাড়ণজাত ড়, ঢ়
অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ নাসিক্য
ক বর্গীয় কণ্ঠ কন্ঠ্য কম্পনজাত
চ বর্গীয় অগ্রতালু তালব্য অনুনাসিক
ট বর্গীয় মূর্ধা মূর্ধণ্য পার্শিক
ত বর্গীয় অগ্রদন্তমূল দন্ত্য উম্ম শ, ষ, স, হ
প বর্গীয় ওষ্ঠ ওষ্ঠ্য অন্তঃস্থ য, র, ল,ব,

 

স্পর্শ ধ্বনিঃ ক থেকে ম পর্যন্ত ২৫টি ধ্বনিকে স্পর্শ ধ্বনি বলে।

অঘোষ ধ্বনিঃ যে ধ্বনি উচ্চারণের আওয়াজে গাম্ভীর্য আসে না সেসব ধ্বনিকে অঘোষ ধ্বনি বলে। যেমন- ক, চ, ট, ত, প।

ঘোষ ধ্বনিঃ যে সব ধ্বনি উচ্চারণের আওয়াজ গম্ভীর শোনায়, সেসব ধ্বনিকে বলে ঘোষ ধ্বনি। যেমন- গ, জ, ড, দ, ব।

অল্পপ্রাণ ধ্বনিঃ যে ধ্বনি উচ্চারণ করতে মুখ থেকে বাতাসের গতি স্বল্প হয় তাকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে। যেমন- ক, চ, ট, ত, প, গ, জ, ড, দ, ব।

মহাপ্রাণ ধ্বনিঃ যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় সজোরে নিঃশ্বাস বের হয় বা, তাকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে। যেমন- খ, ঘ, ছ, ঝ, ঠ, ঢ, থ, ধ, ফ, ভ।

নাসিক্য ধ্বনিঃ যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় নাক দিয়ে বাতাস বের হয় তাকে নাসিক্য ধ্বনি বলে। যেমন-  ঙ, ঞ, ণ, ন, ম।

তাড়নজাত ধ্বনিঃ জিহবা দিয়ে দাঁতের মূলে আঘাত করে যে ধ্বনি উচ্চারণ করা হয় তাকে তাড়নজাত ধ্বনি বলে। ড়, ঢ়।

কম্পনজাত ধ্বনিঃ জিহবার অগ্রভাগ কম্পিত করে এ ধ্বনি উচ্চারিত হয় বলে একে কম্পনজাত ধ্বনি বলে। র।

পার্শ্বিক ধ্বনিঃ যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহবার দুইপাশ দিয়ে বায়ু বের হয় তাকে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে। ল

উষ্ম/শিশ ধ্বনিঃ যে বর্ণ উচ্চারণের সময় শিশ দেওয়ার মতো আওয়াজ হয় তাকে শিশ ধ্বনি বলে। শ, ষ, স, হ।

অন্তঃস্থ ধ্বনিঃ উচ্চারণের দিক থেকে স্পর্শধ্বনি ও উষ্মধনির মধ্যবর্তী ধ্বনিকে অন্তঃস্থ ধ্বনি বলে। য, র, ল, ব।

পরাশ্রয়ী ধ্বনিঃ  যে ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চারিত হতে পারে না তাকে  পরাশ্রয়ী ধ্বনি বলে। ং, ঃ, ঁ।

অনুনাসিক বর্ণঃ শব্দকে যে বর্ণ তার পরবর্তী বর্ণের উচ্চারণকে নাসিক্য করে সেই বর্ণকে অনুনাসিক বর্ণ বলে। ং, ঁ।

কারঃ স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কার বলে। কারের সংখ্যা ১০টি। ‘অ’ ছাড়া সবকটি স্বরবর্ণের কার হয়। া, ,ি ী, ু, ূ, ৃ, ,ে ,ৈ ও, ৗে।

ফলাঃ ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলে। ফলা ৬টি। যথা- ন, ম, য, র, ল, ব।

কতিপয় সংযুক্ত ব্যঞ্জন বর্ণ

বর্ণ   গঠন বর্ণ   গঠন

ক্ক    ক্ + ক    ব্দ    ব্  + দ

ক্ষ   ক্ + ষ     ব্ধ    ব্ + ধ

ক্ষ্ণ   ক্+ষ্+ণ    হ্ণ    হ্  + ণ

ক্ষ্ম   ক্+ষ্+ম    হ্ন    হ্ + ন

হ্ম    হ্ + ম     হৃ    হ্  + ঋ

ঞ্চ    ঞ্ +চ     হ্য    হ্  + য- ফলা

ঞ্ছ    ঞ্ + ছ    গ্ন    গ্ + ন

ঞ্জ    ঞ্ + জ    গ্ধ    গ্  + ধ

ঞ্ঝ    ঞ্+ ঝ     দ্ধ    দ্  + ধ

ষ্ণ   ষ্ + ণ     দ্ব    দ্ + ব-ফলা

গুরুত্বপূর্ণ  নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তর

০১.  উচ্চারণ স্থানের নাম অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনি গুলোকে কতটি ভাগে ভাগ করা হয়?

ক. চার ভাগে        খ. পাঁচ ভাগে

গ. সাত ভাগে        ঘ. ছয় ভাগে

০২.  বাংলা বর্ণমালার কতটি বর্ণ অর্ধমাত্রা দিয়ে লেখা হয়?

ক. ছয়টি       খ. আটটি

গ. পাঁচটি       ঘ. দশটি

০৩.  বাংলা বর্ণমালার কতটি বর্ণ পূর্ণ মাত্রা দিয়ে লেখা হয়?

ক. দশটি       খ. আটটি

গ. পাঁচটি      ঘ. বত্রিশটি

০৪.  বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত আরবি শব্দগুলোকে কতটি ভাগে ভাগ করা যায়?

ক. দু’ভাগে           খ. তিন ভাগে

গ. পাঁচ ভাগে        ঘ. পাঁচ ভাগে

০৫.  বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কতটি?

ক. দুটি         খ. সাতটি

গ. পঁচিশটি          ঘ. পাঁচটি

০৬. ‘ক’ থেকে ‘ম’ পর্যন্ত ব্যঞ্জনবর্ণ গুলোকে বলা হয়-

ক. স্পর্শ বর্ণ         খ. বর্গীয় বর্ণ

গ. ক+খ       ঘ. উষ্মবর্ণ

০৭.  যৌগিক স্বরের প্রতিশব্দ নয় কোনটি?

ক. সান্ধ্যক্ষর         খ. দ্বি-স্বর

গ. সন্ধিস্বর      ঘ. মুক্তস্বর

০৮. মহাপ্রাণ ধ্বনির উদাহরণ কোনটি?

ক. ক     খ. গ

গ. ঘ      ঘ. চ

০৯.  অনুনাসিক বর্ণ কোনটি?

ক. ঙ     খ. ঝ

গ. ঞ্চ     ঘ. কোনটিই নয়

১০.  উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ‘জ’ কোন প্রকারের বর্ণ?

ক. কণ্ঠ বর্ণ          খ. দন্ত বর্ণ

গ. মূর্ধন্য বর্ণ         ঘ. তালব্য বর্ণ

১১.  নিম্নের কোনটি কন্ঠ্য বর্ণ?

ক. ঙ      খ. চ

গ. ত      ঘ. ল

১২.  উচ্চারণ রীতি অনুসারে ব্যঞ্জন বর্ণকে কতটি বর্গে ভাগ করা হয়?

ক. ৩টি    খ. ৪টি

গ. ৫টি         ঘ. ৬টি

১৩.  ধ্বনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে মুখবিবরে উচ্চারণের মূল উপকরণ কী কী?

ক. ওষ্ঠ ও তালু       খ. জিহবা ও ওষ্ঠ

গ. দন্ত ও অগ্রতালু    ঘ. কন্ঠ ও জিহবা

১৪.  বাংলা বর্ণমালার কতটি ব্যঞ্জনবর্ণ অর্ধমাত্রা দিয়ে লেখা হয়?

ক. এগারটি          খ. সাতটি

গ. পঞ্চাশটি          ঘ. ঊনচল্লিশটি

১৫.  বাংলা বর্ণমালার কতটি স্বরবর্ণ অর্ধমাত্রা দিয়ে লেখা হয়?

ক. আটটি      খ. চারটি

গ. দুটি         ঘ. একটি

১৬.  তালব্য ও নাসিক্য বর্ণ কোনটি?

ক. ঙ          খ. ঞ

গ. গ      ঘ. ম

১৭. যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে, তাকে বলে-

ক. অল্পপ্রাণ ধ্বনি          খ. মহাপ্রাণ ধ্বনি

গ. ঘোষ ধ্বনি        ঘ. অঘোষ ধ্বনি

১৮.  দ্যোতনাবিহীন ধ্বনির প্রতীক বা বর্ণের নিচে কোন চিহ্ন লিখতে হয়?

ক. হস্         খ. বল্

গ. হল্         ঘ. ক+গ

১৯.  যুক্তব্যঞ্জন ধ্বনির দ্যোতনার জন্য দু’টো বা তার অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে কোন বর্ণ গঠিত হয়?

ক. সংযুক্ত বর্ণ        খ. উষ্ম বর্ণ

গ. স্পর্শ বর্ণ          ঘ. ব্যঞ্জন বর্ণ

২০.  ‘ক্ষ’ যুক্ত বর্ণটি কোন্ কোন বর্ণ মিলে গঠিত হয়েছে?

ক. খ্ + খ      খ. ক্ + খ

গ. ক্ + ষ      ঘ. ক্ + হ

২১.  ‘বিজ্ঞান’ শব্দের ‘জ্ঞ’ যুক্ত ব্যঞ্জনটি গঠিত হয়েছে?

ক. জ + জ মিলে     খ. জ্ + ঞ মিলে

গ. জ + গ মিলে           ঘ. গ্ + গ মিলে

২২. হ্ম ব্যঞ্জনটি কোন কোন বর্ণ মিলে গঠিত?

ক. হ্ + ষ      খ. হ্ + ম

গ. ক্ + খ           ঘ. ম্ + হ

২৩.  ‘ঞ্জ’-এই যুক্তবর্ণটির বিভাজিত রূপ কোনটি?

ক. জ্ + ঞ         খ. জ্ + ণ

গ. ঞ্ + ণ          ঘ. ঞ্ + জ

২৪.  সাধারণত ‘ক’ বর্গের সাথে কোন নাসিক্য বর্ণটি যুক্ত হয়ে যুক্ত ব্যঞ্জন গঠন করে?

ক. ঞ         খ. ম

গ. ং      ঘ. ঙ

২৫.  ‘উষ্ণ’ শব্দটির শেষের সংযুক্ত বর্ণটিতে কী কী বর্ণ যুক্ত হয়েছে?

ক. ষ্ + ণ      খ. স্ + ন

গ. ষ্ + ঞ          ঘ. স্ + ঙ

২৬. নিচের  কোনটি পরাশ্রয়ী বর্ণ?

ক. ৎ      খ. ঙ

গ. ঞ          ঘ. ঃ

২৭.  বাংলা বর্ণমালায় অসংযুক্ত বর্ণের সংখ্যা কতটি?

ক. এগারটি          খ. সাতটি

গ. পঞ্চাশটি          ঘ. তেরটি

২৮. বাংলা ভাষায় যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কতটি?

ক. দুটি              খ. সাতটি

গ. পঁচিশটি          ঘ. পাঁচটি

২৯.  বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলে?

ক. কার        খ. ফলা

গ. হল              ঘ. হস

৩০.  ‘এ’-ধ্বনির উচ্চারণ কয় রকম?

ক. দুই রকম         খ. পাঁচ রকম

গ. তিন রকম        ঘ. চার রকম

ঙ. ছয় রকম

৩১.  বাংলায় ‘ঋ’ ধ্বনিকে কী বলা চলে না?

ক. যৌগিক ধ্বনি      খ. মিশ্র ধ্বনি

গ. ব্যঞ্জন ধ্বনি       ঘ. স্বর ধ্বনি

৩২. কোনটি যৌগিক স্বরধ্বনির উদাহরণ?

ক. ‘উ’         খ. ‘এ’

গ. ‘ঐ’         ঘ. ‘ঈ’

৩৩. ‘এ’-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ কেবল শব্দের কোথায় পাওয়া যায়?

ক. আদিতে          খ. শেষে

গ. মধ্যে        ঘ. অস্তে

৩৪.  পদের অন্তে ‘এ’-ধ্বনির উচ্চারণ কী হয়?

ক. সংবৃত           খ. অপ্রকৃত

গ. বিবৃত        ঘ. প্রকৃত

৩৫. নিম্নের কোনগুলি উষ্মবর্ণ?

ক. ঙ ঞ ণ ন ম          খ. খ ঘ ছ ঝ

গ. শ ষ স হ         ঘ. খ ঘ ছ ঝ

৩৬. ভাষার মূল উপকরণ কোনটি?

ক. ধ্বনি   খ. বাক্য

গ. শব্দ         ঘ. সন্ধি

৩৭.  বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক বর্ণ কয়টি?

ক. ২ টি        খ. ৩ টি

গ. ৫ টি        ঘ. ৬ টি

৩৮. শব্দের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?

ক. বর্ণ         খ. অক্ষর

গ. ধ্বনি        ঘ. স্বর

৩৯.  বাংলা বর্ণমালায় কয়টি বর্ণে মাত্রা নাই?

ক. ৮ টি        খ. ৯ টি

গ. ১০ টি       ঘ. ১১ টি

৪০.  ‘ক’ থেকে ‘ল’ পর্যন্ত মোট ব্যঞ্জনবর্ণের সংখ্যা কয়টি?

ক. ২৫ টি     খ. ২৬ টি

গ. ২৭ টি       ঘ. ২৮ টি

৪১.  ওষ্ঠ্য ধ্বনির ব্যঞ্জনবর্ণ গুলো হল-

ক. ট ঠ ড ঢ ণ      খ. চ ছ জ ঝ ঞ

গ. ত থ দ ধ ন       ঘ. প ফ ব ভ ম

৪২.  ‘খণ্ড-ত’ (ৎ) প্রকৃত প্রস্তাবে কোন বর্ণের খণ্ড রুপ?

ক. খ          খ. ত

গ. দ           ঘ. ধ

৪৩.  কোন দুটি স্বরের মিলিত ধ্বনিতে ‘ঐ’ সৃষ্টি হয়?

ক. ও + ই       খ. এ + ই

গ. অ + ই     ঘ. ক + ই

৪৪.  কোনটি ওষ্ঠ্য বর্ণ?

ক. ত          খ. ধ

গ. ক          ঘ. প

৪৫.  ব্যঞ্জন বর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে কী বলা হয়?

ক. কার        খ. মাত্রা

গ. ফলা        ঘ. কষি

৪৬. মহাপ্রাণ বর্ণগুচ্ছ কোনটি?

ক. খ, ছ, ঠ     খ. ক, খ, ঙ

গ. খ, গ, ঙ     ঘ. চ, ছ, ঞ

৪৭.  পার্শ্বিক ব্যঞ্জনের উদাহরণ কোনটি?

ক. হ           খ. শ

গ. র       ঘ. ল

৪৮.  বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রা ও অর্ধমাত্রার বর্ণের সংখ্যা যথাক্রমে-

ক. ৪০ টি ও ১০ টি        খ. ৩২ টি ও ১৮ টি

গ. ৩০ টি ও ১০ টি        ঘ. ৩২ টি ১০ টি

৪৯.  ড় এবং ঢ়  কোন ধরনের ধ্বনি ?

ক. ঘৃষ্ট ধ্বনি         খ. নাসিক্য ধ্বনি

গ. তাড়নজাত ধ্বনি    ঘ. ওষ্ঠ্য ধ্বনি

৫০.  বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক-

ক. বাচ্য        খ. শব্দ

গ. বর্ণ          ঘ. ধ্বনি

৫১.  ‘ত, থ, দ, ধ’ এ চারটি বর্ণকে বলে ——  

ক. কণ্ঠ বর্ণ          খ. ওষ্ঠ্য বর্ণ

গ. দন্ত্য বর্ণ          ঘ. তালব্য বর্ণ

৫২.  বাংলা বর্ণ মালায় কয়টি পূর্ণ মাত্রার বর্ণ আছে?

ক. ২৯         খ. ৩১

গ. ৩২         ঘ. ৩৫

৫৩. একক বা একাধিক অর্থবোধক ধ্বনির সম্মিলনে তৈরী শব্দের ক্ষুদ্রাংশকে বলা হয়-

ক. শব্দ          খ.  রুপ

গ. বর্ণ          ঘ.  প্রতীক

৫৪.  নিচের কোন প্রত্যঙ্গটি বাগযন্ত্রের অংশ নয়?

ক. ফুসফুস          খ. নাসিকা গহবর

গ. চোয়াল      ঘ.  ঠোঁট

৫৫. আন্তঃস্বরতন্ত্রীয় ধ্বনি কোন্টি?

ক. ছ          খ. ধ

গ. ক          ঘ.  হ

৫৬. বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি?

ক. ৩৫টি       খ. ৩৭টি

গ. ৩৯টি        ঘ. ৪১টি

৫৭.  নিম্নের কোনটি হ্রস্ব-স্বর বর্ণ নয়?

ক. অ          খ. আ

গ. ই           ঘ. উ

৫৮. “ধ্বনিই ভাষার মূল”- কথাটি কি ঠিক?

ক. হ্যাঁ          খ. না

গ. অর্ধসত্য      ঘ. প্রায় সঠিক

৫৯.  ‘ঃ’— এক প্রকার

ক. নিঃশব্দ ধ্বনি      খ. ‘য়’ শ্রেণীর ধ্বনি

গ. ‘ং’ জাতীয় ধ্বনি  ঘ. ‘হ’-এর ধ্বনি

৬০. ন্ ধ্বনি কোন স্থান থেকে উচ্চারিত হয়?

ক. জিভের ডগা দাঁতকে স্পর্শ করে

খ. জিভের ডগা দন্তমূলকে স্পর্শ করে

গ. জিভের ডগা তালুকে স্পর্শ করে

ঘ. জিভের ডগা উপরের পাটি দাঁতকে স্পর্শ করে

 

উত্তরমালা

 

১    খ    ২    খ    ৩   ঘ    ৪    খ    ৫   গ   ৬   গ   ৭    ঘ    ৮   গ   ৯    ঘ    ১০   ঘ   ১১   ক   ১২   গ   ১৩   ঘ    ১৪   খ    ১৫  ঘ

১৬  খ    ১৭   খ    ১৮  ঘ    ১৯   ক   ২০  গ   ২১   খ    ২২  খ    ২৩  ঘ    ২৪  ঘ    ২৫  ক   ২৬  ঘ    ২৭  গ   ২৮  গ   ২৯  ক   ৩০  ক

৩১  ঘ    ৩২  গ   ৩৩  ক   ৩৪  ক   ৩৫  গ  ৩৬  খ    ৩৭  ক   ৩৮  গ   ৩৯  গ   ৪০  ঘ  ৪১   ঘ    ৪২  খ    ৪৩  গ   ৪৪  ঘ    ৪৫  গ

৪৬  ক   ৪৭  ঘ    ৪৮  ঙ   ৪৯  গ   ৫০  খ   ৫১  গ   ৫২  গ   ৫৩  ক   ৫৪  ক   ৫৫  খ   ৫৬  গ   ৫৭  খ    ৫৮  ক   ৫৯  ঘ    ৬০  খ

Visited ৩৮ times, ১ visit(s) today

Views: 6

Leave A Reply

Your email address will not be published.