পরিবেশ দূষণ
প্রাথমিক বিজ্ঞান
৫ম শ্রেণি
♦ নিচের প্রশ্নের উত্তর উত্তরপত্রে লেখ :
(ক) শব্দ দূষণ কেন হয়? শব্দ দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পার তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর: বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজালে, উচ্চস্বরে গান বাজালে এবং লাউড স্পিকার বা মাইক বাজালে শব্দ দূষণ হয়। কলকারখানায় বড়
বড় যন্ত্রপাতির ব্যবহারও শব্দ দূষণের কারণ।
শব্দ দূষণ রোধে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি তা হলো-
১. লাউডস্পিকারে মোবাইলে কথা না বলা,
২. শ্রেণিকক্ষে গোলমাল না করা,
৩. উচ্চ শব্দ সৃষ্টি না করা,
৪. উচ্চস্বরে গান না বাজানো ও
৫. অযথা গাড়ির হর্ন না বাজানো ।
(খ) পরিবেশ সংরক্ষণ কী? পরিবেশ দূষণের দুটি প্রভাব লেখ। পরিবেশ সংরক্ষণে তোমার চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ। পরিবেশ দূষণের দুটি প্রভাব হলো- ১. জীবজন্তুর আবাসস্থল ও খাদ্যশৃঙ্খল ধ্বংস হচ্ছে।
২. অনেক জীব পরিবেশ থেকে বিলুপ্ত হচ্ছে।
পরিবেশ সংরক্ষণে আমার চারটি করণীয় নিচে দেওয়া হলো-
১. কাজ শেষে বাতি নিভিয়ে রেখে।
২. গাড়ি চড়ার পরিবর্তে পায়ে হেঁটে বা সাইকেল ব্যবহার করে।
৩. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে।
৪. পুনঃব্যবহার করে ও রিসাইকেল ব্যবহার করে।
(গ) শব্দ দূষণের দুটি কারণ লেখ। হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট তিনটি প্রভাব লেখ। শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনটি পরামর্শ লেখ।
উত্তর: শব্দ দূষণের দুটি কারণ হলো-
১. বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজানো।
২. মাইক বাজানো।
হঠাৎ উচ্চ শব্দের কারণে মানবদেহে সৃষ্ট তিনটি প্রভাব নিম্নরূপ-
১. শ্রবণশক্তি হ্রাস,
২. ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি ও
৩. কর্মক্ষমতা হ্রাস।
শব্দ দূষণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনটি পরামর্শ হলো-
১. উচ্চস্বরে গান, লাউড স্পিকার বা মাইক না বাজানো।
২. বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো।
৩. উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী কলকারখানা লোকালয় থেকে দূরে স্থাপন করা।
(ঘ) পরিবেশ সংরক্ষণ কী? পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তিনটি বাক্যে লেখ। পরিবেশ সংরক্ষণে তোমার চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ।
পরিবেশ সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিচে তিনটি বাক্যে দেওয়া হলো-
১. সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
২. প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহার করার জন্য।
৩. পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য।
পরিবেশ সংরক্ষণে আমার চারটি করণীয় নিচে দেওয়া হলো-
১. কাজ শেষে বাতি নিভিয়ে রাখা।
২. গাড়ি চড়ার পরিবর্তে পায়ে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করা।
৩. প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার কমানো।
৪. পুনঃব্যবহার করা ও রিসাইকেল ব্যবহার করা।
(ঙ) পরিবেশ দূষণ কাকে বলে? মাটি ও পানি দূষণের তিনটি করে কারণ লেখ।
উত্তর: বেঁচে থাকার জন্য আমরা পরিবেশকে নানাভাবে ব্যবহার করি। ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এ পরিবর্তন যখন জীবের জন্য ক্ষতিকর হয়, তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।
মাটি দূষণের তিনটি কারণ হলো-
১. কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক।
২. গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য।
৩. কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও তেল।
পানি দূষণের তিনটি কারণ হলো-
১. পয়ঃনিষ্কাশন, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য পানিতে ফেলা।
২. কৃষি জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা।
৩. কল-কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পানিতে ফেলা।
(চ) শব্দ দূষণ কী? শব্দ দূষণের তিনটি উৎসের নাম লেখ। শব্দ দূষণ রোধে তোমার চারটি করণীয় লেখ।
উত্তর: বর্জ্য, কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থ যেভাবে মাটি দূষণের সাথে সম্পর্কিত তা চারটি বাক্যে নিচে দেওয়া হলো-
১. কৃষিকাজে কীটনাশকের মাধ্যমে মাটি দূষিত হয়।
২. কৃষিজমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারে মাটি দূষিত হয়।
৩. গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্যের মাধ্যমে মাটি দূষিত হয়।
৪. কলকারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও তেল ইত্যাদির মাধ্যমে মাটি দূষিত হয়।
মাটি দূষণের চারটি ক্ষতিকর প্রভাব হলো-
১. জমির উর্বরতা নষ্ট হয়।
২. গাছপালা ও পশুপাখি মারা যায়।
৩. মাটিস্থ জীবজন্তুর আবাসস্থল ধ্বংস হয়।
৪. দূষিত মাটিতে উৎপন্ন ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণের ফলে মানুষ ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
(ছ) পরিবেশ সংরক্ষণ কী? আমরা কীভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি?
উত্তর: প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষা এবং যথাযথ ব্যবহারই হচ্ছে পরিবেশ সংরক্ষণ। আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করতে পারি। যেমন- ১. জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
২. বিদ্যুৎ বা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো।
৩. কারখানার বর্জ্য ও রাসায়নিক পদার্থ, তেল পরিবেশে ফেলার পূর্বে পরিশোধন করা।
৪. যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা থেকে বিরত থাকা।
৫. বেশি করে গাছ লাগানো।
৬. কম দূরত্বে গাড়িতে চড়ার পরিবর্তে পায়ে হাঁটা বা সাইকেল ব্যবহার করা।
(জ) শব্দ দূষণ কী? শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব কী?
উত্তর: যে ধরনের শব্দ কানে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে তা হচ্ছে শব্দ দূষণ। শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো হলো-
১. অবসন্নতা,
২. শ্রবণ শক্তি হ্রাস,
৩. ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি,
৪. কর্মক্ষমতা হ্রাস ইত্যাদি।
(ঝ) পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ ব্যাখ্যা করি।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ হলো-
১. মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন- ক্যান্সার, শ্বাসজনিত রোগ, পানিবাহিত রোগ, ত্বকের রোগ ইত্যাদি।
২. জীবজন্তুর আবাসস্থল ও খাদ্যশৃঙ্খল নষ্ট হয়।
৩. পরিবেশ থেকে অনেক জীব, বিলুপ্ত হয়।
৪. পৃথিবীর তাপমাত্রা, ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
৫. হিমবাহ গলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।