বাংলাদেশের কৃষি
জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন
১. কৃষি কাকে বলে?
উত্তর: ফসল, পশুপাখি, মাছ ও বন চাষ করতে মাটির জীবিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাকে কৃষি বলে।
২. বাংলাদেশের কৃষিতে তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎসগুলো কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষির তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তির উৎসগুলো হলো-
১. স্থানীয় প্রতিষ্ঠান-কৃষক সভা, উঠান বৈঠক, কৃষক মাঠ স্কুল, কৃষক ক্লাব ও এনজিও।
২. বিদ্যালয়, কৃষি ইনস্টিটিউট ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান-স্কুল-কলেজভিত্তিক কৃষিশিক্ষা, ভোকেশনাল, পলেটকিনিক ও কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ।
৩. কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ- BARI, BRRI, BINA, BJRI, BFRI, BADC, BARC সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
৪. কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
৫. ইন্টারনেট সার্ভিস, সরকারের ‘এ টু আই’ প্রকল্প।
৩. কৃষক সভা কাকে বলে?
উত্তর: উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক তত্ত্বাবধানে স্থানীয়ভাবে কৃষকদেরকে একত্র করে মতামত ও তথ্য বিনিময়ের জন্য মিলিত হওয়াকে কৃষক সভা বলে।
৪. কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কী কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজগুলো নিম্নরূপ-
১. কৃষির সকল শাখায় পেশাভিত্তিক উচ্চ শিক্ষা প্রদান করা।
২. কৃষির বিভিন্ন বিষয়ে মৌলিক ও ফলিত গবেষণা পরিচালনা করা।
৩. বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিভিন্ন ধরনের কৃষি সম্প্রসারণ ও জাতি গঠনমূলক কার্যকলাপ পরিচালনা ও তদারকি করা।
৪. কৃষি ও পল্লী উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্মী, কৃষক ও খামার নেতাদের জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা করা।
৫. AIS কী?
উত্তর: Agricultural Information Service (AIS) বা কৃষি তথ্য সার্ভিস হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান।
৬. বাংলাদেশের দুটি কৃষি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম লিখ।
উত্তর: দুটি কৃষি বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম হলো-
১. বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (BARI)
২. বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI)
৭. ‘কৃষক মাঠ স্কুল’ কী তা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কৃষক মাঠ স্কুল হলো কৃষকদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির একটি কার্যকর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যেখানে কৃষি উৎপাদন বিষয়ক হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সাধারণত মাঠের কোনায়, বাড়ির উঠানে বা ক্লাব ঘরে আয়োজন করা হয়। কৃষক মাঠ স্কুলে ফসল চাষ, রোগবালাই দমন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ২০টি অধিবেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। অংশগ্রহণমূলক শিক্ষার পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষকরা দেখে শেখা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও গবেষণার মাধ্যমে বাস্তবজ্ঞান অর্জন করেন।
৮. কৃষিশিক্ষা কী?
উত্তর: বিজ্ঞানের যে শাখায় ফসল, মাছ, পশু, হাঁস-মুরগি, গাছপালা ইত্যাদি বিষয়ে যাবতীয় শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা হয় তাই কৃষিশিক্ষা।
৯. আলু কী জাতীয় ফসল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আলু একটি উদ্যান ফসল। কারণ উদ্যান ফসলের মতো এর জমির সমস্ত ফসল ধাপে ধাপে পরিপক্ক হয় এবং মৌসুমের শুরুতে বেশি দাম পাওয়া যায়। অন্যান্য উদ্যান ফসলের মতো আলু চাষও অধিক নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন হয়। এটি তাজা অবস্থায় ব্যবহার করা হয় এবং নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি, আলু সাধারণত একসাথে কম বা অধিক পরিমাণে চাষ করা হয়।
১০. মাঠ ফসল কী?
উত্তর: যেসব উদ্ভিদের খাদ্য ও অর্থনৈতিক উপযোগিতা আছে এবং তুলনামূলক কম পরিচর্যার প্রয়োজন হলেও উঁচু-নিচু সব ধরনের জমিতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় সেগুলোই মাঠ ফসল। যেমন-ধান, গম, পাট ইত্যাদি।
১১. আলুকে উদ্যান ফসল বলা হয় কেন?
উত্তর: নিম্নলিখিত কারণে আলু উদ্যান ফসল-
১. জমির সমস্ত ফসল ধাপে ধাপে পরিপক্ক হয় এবং মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি পাওয়া যায়।
২. উদ্যান ফসলের ন্যায় আলু চাষাবাদে অধিক নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন।
৩. এটি তাজা অবস্থায় ব্যবহার করা হয় এবং নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করতে হয়।
৪. এটি একসাথে সাধারণত কম বা অধিক চাষ করা যায়।
১২. ইন্টারনেট কী?
উত্তর: ইন্টারনেট হলো বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এমন অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত সংযোগ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে নিমেষেই অন্য প্রান্তের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
১৩. কৃষির উন্নয়নে NGO-র ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বেসরকারি সাহায্যকারী সংস্থা (NGO) দীর্ঘদিন ধরে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। তারা তৃণমূল পর্যায়ে সভা-সিমিতি গঠনের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষকদের সমস্যার সমাধানে আধুনিক কৃষি তথ্য ও সেবা সরবরাহ করে। পাশাপাশি, উন্নত প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সহজ শর্তে মূলধন সরবরাহের মাধ্যমে কৃষকদের উন্নয়নে সহায়তা করে। সরকারের একার পক্ষে এই উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই কৃষির উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি NGO-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১৪. BARI এর পূর্ণ রূপ কী?
উত্তর: BARI-এর পূর্ণ রূপ হলো— Bangladesh Agricultural Research Institute.
১৫. অভিজ্ঞ কৃষককে স্থানীয় তথ্য ভান্ডার বলা হয় কেন ? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: একজন অভিজ্ঞ কৃষক বলতে তাকে-ই বোঝানো হয় যে একজন স্থানীয় নেতা এবং পরামর্শদাতা। একজন অভিজ্ঞ কৃষক স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন। এছাড়াও তিনি গণমাধ্যম থেকে কৃষি বিষয়ক অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন। এভাবে তিনি কৃষি বিষয়ক জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের কৃষি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। এসব কারণে অভিজ্ঞ কৃষককে স্থানীয় তথ্যভান্ডার বলা হয়।
১৬. BADC এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: BADC এর পূর্ণরূপ Bangladesh Agricultural Development Corporation।
১৭. কৃষি ডায়েরি বলতে কী বুঝ?
উত্তর: কৃষি ডায়েরি কৃষি তথ্য সার্ভিসের একটি প্রকাশনা কার্যক্রম। কৃষি ডায়েরি একটি কৃষি তথ্যসমৃদ্ধ ডায়েরি, যাতে হালনাগাদ কৃষির তথ্য, উপাত্ত, বিভিন্ন সংস্থার ফোন নম্বর, ফ্যাক্স নম্বর, ই-মেইল, ওয়েবসাইটসহ যোগাযোগের ঠিকানা থাকে।
১৮. কৃষিশিক্ষা কাকে বলে?
উত্তর: বিজ্ঞানের যে শাখায় ফসল, মাছ, পশু, হাঁস-মুরগি, গাছপালা ইত্যাদি বিষয়ে যাবতীয় শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা হয় তাই কৃষিশিক্ষা।
১৯. কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তিতে অভিজ্ঞ কৃষকের ভূমিকা বর্ণনা কর।
উত্তর: একজন অভিজ্ঞ কৃষক বলতে তাকে বোঝানো হয় যে একজন স্থানীয় নেতা এবং পরামর্শদাতা। একজন অভিজ্ঞ কৃষক স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজ খবর রাখেন। অভিজ্ঞ কৃষক নিজে তথ্যসমৃদ্ধ হয়ে নিজেদের এলাকার কৃষকদের কৃষি বিষয়ে পরামর্শ দান করেন। কৃষক যখন সমস্যায় পড়েন তখন তিনি আন্তরিকতার সাথে তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তিতে অভিজ্ঞ কৃষকের ভূমিকা অপারিসীম।
২০. এনজিও কী?
উত্তর: যেসব প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন নয় তবে সরকার কর্তৃক অনুমোদনপ্রাপ্ত, সেসব প্রতিষ্ঠানই এনজিও।
২১. টমেটাে কোন উদ্যান ফসল? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: উদ্যান ফসল সীমিত পরিসরের বনজমুক্ত উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে প্রতিটি গাছকে বিশেষ যত্নসহকারে চাষ করা হয়। টমেটাে সীমিত পরিসরের বনজমুক্ত উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে প্রতিটি গাছকে বিশেষ যত্নসহকারে চাষ করা হয় বলে টমেটাে একটি উদ্যান ফসল।
২২. BARC-এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তর: BARC এর পূর্ণরূপ হলো- Bangladesh Agricultural Research Council.
২৩. সবুজ সার কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কোনো বিশেষ ফসল চাষ করে তাজা অবস্থায় তা মাটির সাথে মিশিয়ে দিলে তাকে সবুজ সার বলা হয়। সবুজ সার ফসল উৎপাদনে নিরপেক্ষ বিক্রিয়া সম্পন্ন রাসায়নিক সারগুলোর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফসল জমিতে সবুজ সার ব্যবহার করলে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। এর ব্যবহারে মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে মাটির উর্বরতা ও উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
২৪. কৃষিকথা কী?
উত্তর: কৃষিকথা হলো একটি কৃষি প্রযুক্তিভিত্তিক মাসিক পত্রিকা, যা নিয়মিত প্রকাশ ও বিতরণ করা হয়।
২৫. কৃষি বন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কৃষি বন হলো একটি ভূমি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি যার মাধ্যমে একই জমিতে একই সাথে পর্যায়ক্রমিকভাবে বৃক্ষ, খাদ্য বা পশুখাদ্যদের চাষাবাদের মাধ্যমে জমির সার্বিক উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়। এ পদ্ধতিতে উপাদানসমূহ একে অন্যের উৎপাদনকে ব্যাহত করে না, পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে না এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করে। যশোর, কুষ্টিয়া ও ফরিদপুর জেলার আবাদি জমির মধ্যে খেজুর, তাল, বাবলা ইত্যাদি গাছ কৃষি বনের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।
২৬. ইন্টারনেট কী?
উত্তর: ইন্টারনেট হলো বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এমন অসংখ্য নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত সংযোগ ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে নিমেষেই অন্য প্রান্তের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
২৭. বাংলাদেশের কৃষিতে তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎসগুলো কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশের কৃষির তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎসগুলো হলো, অভিজ্ঞ কৃষক, কৃষক মাঠ স্কুল, কৃষক সভা বা উঠান বৈঠক, কৃষি উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, কৃষি তথ্য সার্ভিস ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, এনজিও, কৃষি উপকরণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এবং ইন্টারনেট ইত্যাদি।
২৮. মাঠ ফসল কী?
উত্তর: যেসব উদ্ভিদের খাদ্য ও অর্থনৈতিক উপযোগিতা আছে এবং তুলনামূলক কম পরিচর্যার প্রয়োজন হলেও উঁচু-নিচু সব ধরনের জমিতে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয় সেগুলোই মাঠ ফসল। যেমন-ধান, গম, পাট ইত্যাদি।
২৯. মাঠ ফসল ও উদ্যান ফসলের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
উত্তর: মাঠ ফসল ও উদ্যান ফসলের মধ্যে চারটি পার্থক্য হলো:
৩০. ই-কৃষি কী?
উত্তর: ই-কৃষি হলো ইলেকট্রনিক ভিত্তিক কৃষি তথ্য আদান-প্রদান কার্যক্রম।
৩১. অভিজ্ঞ কৃষককে কোন তথ্য ভান্ডার বলা হয়? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: অভিজ্ঞ কৃষক একজন স্থানীয় নেতা এবং পরামর্শদাতা। তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ ও নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখেন। এছাড়া তিনি গণমাধ্যম থেকেও অনেক তথ্য সংগ্রহ করেন। এভাবে তিনি নিজ কৃষিজ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের কৃষি বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। তাই অভিজ্ঞ কৃষককে স্থানীয় তথ্যভান্ডার বলা হয়।
৩২. কৃষি তথ্য সার্ভিস কী?
উত্তর: কৃষি তথ্য সার্ভিস হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান।
৩৩. কৃষক সভা ও উঠান বৈঠকের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: কৃষক সভা ও উঠান বৈঠকের মধ্যে পার্থক্য ব্যাখ্যা করা হলো—
কৃষক সভা
১. প্রতি মাসে যেকোনো তারিখ বা নির্দিষ্ট তারিখে করা হয়।
২. সভায় ৫০-৬০ জন কৃষক উপস্থিত থাকে।
৩. উপজেলা কৃষি অফিস ও ইউনিয়ন পরিষদে হয়।
উঠান বৈঠক
১. জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো সময় উঠান বৈঠক করা হয়।
২. সভায় ২৫-৩০ জন কৃষক উপস্থিত থাকে।
৩. কৃষকের বাড়িতে হয়।
৩৪. মাছ কী?
উত্তর: পানিতে বসবাসকারী জলজ প্রাণী, মেরুদণ্ডী বা অমেরুদণ্ডী, আঁইশসহ বা আঁইশবিহীন বন্য বা চাষযোগ্য প্রজাতিসমূহকে মাছ বলে।
৩৫. আলুকে বৈচিত্র্যমূলক উদ্যান ফসল বলা হয় কেন?
উত্তর: নিম্নলিখিত কারণে আলু উদ্যান ফসল-
১. জমির সমস্ত ফসল ধাপে ধাপে পরিপক্ক হয় এবং মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি পাওয়া যায়।
২. উদ্যান ফসলের ন্যায় আলু চাষাবাদে অধিক নিবিড় পরিচর্যার প্রয়োজন।
৩. এটি তাজা অবস্থায় ব্যবহার করা হয় এবং নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করতে হয়।
৪. এটি একসাথে সাধারণত কম বা অধিক চাষ করা যায়।
৩৬. কৃষি তথ্য সার্ভিস কী?
উত্তর: কৃষি তথ্য সার্ভিস হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান।
৩৭. কৃষি তথ্য সেবায় মোবাইল ফোন কী কাজে লাগে? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: মোবাইল ফোন তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লবের একটি কার্যকর হাতিয়ার। কৃষি তথ্য সেবা প্রদানে মোবাইল ফোন বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যেকোনো মোবাইল থেকে ঘরে বসে ফোন করে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক যেকোনো প্রশ্নের সমাধান বিনামূল্যে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। মোবাইলের মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান লাভ করে কৃষক তার উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।
৩৮. কৃষি কাকে বলে?
উত্তর: ফসল, গবাদিপশু, মাছ ও বনজ সম্পদ উৎপাদনের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিকে কৃষি বলে।
৩৯. বাংলাদেশের কৃষিতে তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎসগুলো কী কী?
উত্তর: বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সরবরাহ ও সেবাদানের জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানসমূহ মূলত কৃষি তথ্য ও সেবা প্রাপ্তির উৎস হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের কৃষির তথ্য ও সেবাপ্রাপ্তির উৎসগুলো হলো-
১. স্থানীয় প্রতিষ্ঠান-কৃষক সভা, উঠান বৈঠক, কৃষক মাঠ স্কুল, কৃষক ক্লাব ও এনজিও।
২. বিদ্যালয়, কৃষি ইনস্টিটিউট ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান-স্কুল-কলেজভিত্তিক কৃষিশিক্ষা, ভোকেশনাল, পলেটকিনিক ও কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ।
৩. কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহ- BARI, BRRI, BINA, BJRI, BFRI, BADC, BARC সহ আরো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
৪. কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
৫. ইন্টারনেট সার্ভিস, সরকারের ‘এ টু আই’ প্রকল্প।